প্রতিবেদন : আহমেদাবাদের মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার পর কাটেনি এক মাসও। এর মধ্যেই একের পর এক এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ধরা পড়ছে যান্ত্রিক ত্রুটি। এবার মাঝপথেই বাতিল হল দিল্লি থেকে ওয়াশিংটনগামী উড়ান! বিমানটি জ্বালানি ভরার জন্য অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অবতরণ করে। তার পরেই বিমানের বাকি যাত্রাপথ বাতিল ঘোষণা করা হয়।
গত মঙ্গলবার বেশি রাতের দিকে দিল্লি থেকে ওয়াশিংটনের উদ্দেশে রওনা দেয় এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১০৩ বিমানটি। দূরপাল্লার বিমানগুলিকে সাধারণত জ্বালানি ভরার জন্য যাত্রাপথের মাঝে কোথাও নামতে হয়। এ ক্ষেত্রেও পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুসারে ভিয়েনার বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিমানটি। সেখানে জ্বালানি ভরার সময়েই একটি ত্রুটি ধরা পড়ে। ফলে মাঝপথেই বাতিল করে দেওয়া হয় উড়ান।
এয়ার ইন্ডিয়া সংস্থার এক মুখপাত্র জানান, ভিয়েনায় জ্বালানি ভরার জন্য বিমানটি নামার পরে উড়ানের সব যন্ত্রাংশ পরীক্ষা করা হচ্ছিল। সেই সময়েই একটি ত্রুটি ধরা পড়ে, যার জেরে বিমানটির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ আরও পরীক্ষানিরীক্ষা করার প্রয়োজন হয়। সেই কারণে ভিয়েনা থেকে ওয়াশিংটন পর্যন্ত ওই বিমানের যাত্রাপথ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি তাঁর কথায়, বিমানটি বাতিল হওয়ার পরে সব যাত্রীদের সেটি থেকে নামিয়ে আনা হয়। যাঁদের বিনা ভিসায় অস্ট্রিয়ায় প্রবেশের সুবিধা রয়েছে বা যাঁদের কাছে শেনজেন ভিসা (ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলির বিশেষ ভিসা) রয়েছে, তাঁদের বিমানবন্দরের বাইরে হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অস্ট্রিয়ার অভিবাসন এবং নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় রেখে বাকি যাত্রীদেরও জন্যও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। দ্রুত যাত্রীদের জন্য বিকল্প বিমানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে।
উল্লেখ্য, গত ১২ জুন আহমেদাবাদ থেকে লন্ডন সংলগ্ন গ্যাটউইকগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। বিমানবন্দর ছাড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বিমানটি ভেঙে পড়ে। ওই বিমানে ছিলেন ২৪২ জন। তাঁদের মধ্যে ২৪১ জনেরই মৃত্যু হয়। যেখানে বিমানটি ভেঙে পড়েছিল, সেখানেও অনেকের মৃত্যু হয়। ওই দুর্ঘটনার পর থেকেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার পরিষেবা। এর পর গত কয়েক দিনে এয়ার ইন্ডিয়ার একাধিক বিমানে গোলোযোগ ধরা পড়ে।