নয়াদিল্লি : তৃণমূলের দাবির পরেই নড়েচড়ে বসল নির্বাচন কমিশন। আসন্ন আগস্ট মাস থেকেই বাংলার ভোটার তালিকায় স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) বা বিশেষ সংশোধনের এর কাজ শুরু হতে পারে। সূত্রের খবর, বাংলা নিয়ে কাজ শুরু করার জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবারই এসআইআর নিয়ে একগুচ্ছ আপত্তির কথা নির্বাচন কমিশনের সামনে তুলে ধরেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে দলের পক্ষ থেকে এবিষয়ে যে সমস্ত দাবি করা হয়েছিল তার মধ্যে কমিশনের ২০০৩ সালের তালিকার উপর ভিত্তি করে এসআইআরের কাজ শুরুর নির্দেশিকার বিরোধিতা করে, ২০২৪ সালের ভোটার তালিকাকে ভিত্তি করে এসাইআর করার দাবি করা হয়।
অন্যদিকে, বুধবার কমিশনের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিহার নির্বাচনের এসআইআর নিয়ে অনুমোদনহীন কোনও ব্যক্তিকে ভোটার তালিকা নিয়ে আলোচনার জন্য কমিশনের তরফ থেকে সময় দেওয়া হবে না। রাজনৈতিক দলগুলির শীর্ষ নেতা তথা দলের সভাপতি এ বিষয়ে আলোচনার জন্য সময় চাইলেই তা দেবে কমিশন। সভাপতি না আসতে পারলে তাঁর মনোনীত দুই জনকে সেই সুযোগ দেওয়া হবে। কমিশনের এহেন সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। বিহার নির্বাচনের জন্য কমিশনের তরফ থেকে এসআইআরের ঘোষণার পর থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে কমিশনকে। চাপের মুখে পড়েই অনুমোদনহীন ব্যক্তিকে সময় না দেওয়ার কথা বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানাতে কমিশন বাধ্য হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের বড় অংশ।
প্রসঙ্গত, এদিনই ইন্ডিয়া ব্লকের পক্ষ থেকে কংগ্রেস-সহ ১১টি দলের ২০ জন সদস্য কমিশনে গিয়েছিলেন। তার মধ্যে মাত্র দুই কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি ও অখিলেশ সিংকে বৈঠকে ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল। জয়রাম রমেশ, পবন খেড়ার মতো কংগ্রেস নেতা-সহ বাকিরা বাইরেই অপেক্ষা করছিলেন। বৈঠকের পরে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সিংভি কমিশনের নির্দেশিকার তীব্র সমালোচনা করে বলেন, এই সিদ্ধান্তের কোনও আইনি ভিত্তি নেই। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের রাজনৈতিকদলগুলির সঙ্গে কমিশনের আলোচনার সুযোগ কমে যাবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। ক্ষোভ প্রকাশ করে জয়রাম রমেশ জানান, নির্বাচন কমিশন বিরোধী দলের অধিকার খর্ব করছে। দেশের গণতন্ত্রকে অগ্রাহ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।