ঢাকা: গত বছরের জুলাই-অগস্টে বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে দেশত্যাগ করতে বাধ্য হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপর থেকেই বাংলাদেশে চলছে বদলার রাজনীতি। অরাজকতা চরম সীমায় পৌঁছেছে৷ এমনকী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরও করা হয়। এবার সেই মামলায় বুধবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ৬ মাসের জেলের সাজা ঘোষণা করা হল।
পুলিশ প্রশাসন ও তদন্তকারীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। তাতেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিনাশ্রমে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিল ঢাকার ট্রাইব্যুনাল। মূলত একটি ফোনালাপের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়। যাতে একটি মহিলা কন্ঠকে বলতে শোনা যায়, “আমার নামে আড়াইশো খুনের মামলা হয়েছে। অর্থাৎ আমি আড়াইশো খুনের পারমিশন পেয়ে গিয়েছি।”
পাশাপাশি এই ফোনালাপে আওয়ামি লিগের নেতাকর্মীদের উপর যারা যে সমস্ত পুলিশ অত্যাচার চালিয়েছে, বাড়িঘর লুট করেছে, তাদের ‘ব্যবস্থা’ হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই ফোনালাপ প্রকাশ্যে আসতেই মামলা হয়। ওই নারীকণ্ঠ শেখ হাসিনার বলেই জানানো হয়েছে রায়ে। জানানো হয়েছে, অডিও-টি এআই-র মাধ্যমে তৈরি করা হয়নি। এই মামলাতেই এবার রায় ঘোষণা করে ৬ মাসের সাজা দেওয়া হল শেখ হাসিনাকে।
উল্লেখ্য, আপাতত শেখ হাসিনা নয়াদিল্লির নিরাপদ রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন। ২০১৩ সালে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী, দু’দেশের স্বার্থে কোনও পলাতক আসামির বিচারের জন্য প্রত্যর্পণ করতে হবে। এমন চুক্তিতে কোথাও শেখ হাসিনার মতো রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা কোনও ব্যক্তিত্বের ক্ষেত্রে প্রত্যর্পণের কথা নেই। সেক্ষেত্রে কেন্দ্র নিজস্ব নীতি অনুযায়ী এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতেই পারে। এখন ভারত সরকার হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে কিনা তা নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে।