প্রতিবেদন : পরতে পরতে ছড়িয়ে গিয়েছে দুর্নীতির জাল। আরও একবার বেআব্রু হয়ে উঠল বিজেপিশাসিত মধ্যপ্রদেশের বেহাল দশা। সরকারি দফতরে দুর্নীতির মাত্রা এমন জায়গায় পৌঁছে গেল যে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিলেন খোদ সেই দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার! ঘটনাটি ঘিরে ইতিমধ্যেই তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সে রাজ্যজুড়ে।
জল জীবন মিশনের ৩০,০০০ কোটির প্রকল্পকে কেন্দ্র করে দুর্নীতির অভিযোগ। বিজেপিরই প্রাক্তন বিধায়ক কিশোর সামৃতে জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী সাম্পাত্যিয়া ইউকির বিরুদ্ধে ১০০০ কোটি টাকা কমিশন নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। এই অভিযোগ জানিয়ে তিনি সরাসরি চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। শুধুমাত্র মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ১০০০ কোটি টাকার কমিশন বা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগই নয়, তাঁর অভিযোগ, প্রাক্তন চিফ ইঞ্জিনিয়ার বিকে সোনাগারিয়া তাঁর অ্যাকাউন্ট্যান্ট মহেন্দ্র খারের মাধ্যমে ২০০০ কোটি টাকা সরিয়েছেন!
সামৃতের কথায়, জল নিগমের প্রকল্প রূপায়ণ ইউনিটের শীর্ষ আধিকারিকরা কোটি কোটি টাকা নিজেদের পকেটে পুরেছেন। বিশুদ্ধ পানীয় জল গ্রামাঞ্চলের বাড়ি বাড়ি পাঠানোর জন্য গঠিত তহবিলের টাকা ব্যক্তিগত স্বার্থে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বিজেপি বিধায়কের চিঠিতে এমন বিস্ফোরক তথ্য পেয়ে রাজ্যের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় কেন্দ্র। এরপরেই তড়িঘড়ি করে মন্ত্রী সাম্পাত্যিয়ার বিরুদ্ধে তড়িঘড়ি করে তদন্তের নির্দেশ দেন চিফ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় আঁধাবান। বিজেপি সরকারের আমলে আরও অজস্র দুর্নীতি জনসমক্ষে তুলে ধরেছেন সামৃতে। দাবি করেছেন সিবিআই তদন্তের।
উল্লেখ্য, এই সূত্র ধরেই একের পর এক উঠে আসে নানান দুর্নীতির চিত্র। বেতুলে, এক একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার কোনও প্রকল্প বাস্তবায়িত না করেও সরকারি কোষাগার থেকে তুলে নিয়েছেন ১৫০ কোটি টাকা। প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক সামৃতে জানিয়েছেন, জল সরবরাহ প্রকল্পের বাস্তবে কোনও অস্তিত্ব না থাকা সত্ত্বেও ইস্যু করা হয়েছে ৭০০০ ভুয়ো কমপ্লিশন সার্টিফিকেট। স্বাভাবিকভাবেই চরম অস্বস্তিতে শাসকদল।