নয়াদিল্লি : এবারে দুই প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও চিনের গতিবিধির উপর কড়া নজর রাখতে বড় পদক্ষেপের পথে হাঁটল কেন্দ্র। এবার ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালাতে মহাকাশে ৫২টি সামরিক স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আনুমানিক খরচ পড়বে ২৬,৯৬৮ কোটি টাকা।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ২০২৬ সালের এপ্রিল মাস নাগাদ প্রথম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হবে। ২০২৯ সালের মধ্যে ৫২টি উপগ্রহ পৃথিবীর লো-অরবিটে স্থাপন করা হবে। ৫২টি স্যাটেলাইটের মধ্যে ২১টি তৈরি করবে ইসরো। বাকি ৩১টি উপগ্রহ তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে তিনটি বেসরকারি সংস্থাকে। পুরো প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রতিরক্ষা মহাকাশ সংস্থা (ডিএএস)কে।
অত্যাধুনিক এই স্যাটেলাইট চিন ও পাকিস্তানের পাশাপাশি ভারত মহাসাগরের একটি বড় অংশে সর্বদা নজরদারি চালাবে। অল্প সময়ের মধ্যে কোনও নির্দিষ্ট স্থানের একাধিক ছবি পাঠাবে উপগ্রহগুলি। ছবিগুলির মানও আগের চেয়ে উন্নততর হবে। এছাড়াও সামরিকক্ষেত্রকে আরও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর করতে এই স্যাটেলাইটগুলি অত্যন্ত কার্যকর হয়ে উঠবে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ থেকে ১০ মে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময়, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য কার্টোস্যাটের মতো দেশীয় উপগ্রহ এবং বিদেশী বাণিজ্যিক উপগ্রহ ব্যবহার করেছিল ভারত। এবার যুদ্ধক্ষেত্রে আরও আত্মনির্ভর হয়ে উঠতে এই ৫২টি স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ ভারতের জন্য বড় সাফল্য হতে চলেছে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।