পুরী : রথযাত্রার আবহেই বিতর্কের কেন্দ্রে ওড়িশার ‘ডবল ইঞ্জিন’ প্রশাসন। শুক্রবার পুরীতে বিপুল জনসমাগমের জেরে পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আহত হয়েছেন অন্তত ৫৮১ জন। তাঁদের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা গুরুতর। স্বাভাবিকভাবেই আঙুল উঠেছে প্রশাসনের দিকে। এহেন অব্যবস্থার দরুণ নির্ধারিত সময়ে মাসির বাড়িতে পৌঁছতেই পারলেন না জগন্নাথদেব! ইতিমধ্যেই শাসকদল বিজেপিকে কড়া ভাষায় একহাত নিয়েছে বিরোধীরা।
এপ্রসঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা নবীন পট্টনায়েক জানান, “আমরা কাউকে দোষারোপ করতে চাই না। কিন্তু কালকের ঘটনায় উদ্বেগ এবং বিরক্তি প্রকাশ না করে উপায় নেই। রাজ্যের সবচেয়ে পবিত্র উৎসব নিয়ে এই অব্যবস্থা মেনে নেওয়া যায় না। গত বছর কীভাবে পাহান্ডির সময় বলরামের মূর্তি পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটল সেটাও ভোলার নয়।”

পট্টনায়েকের কথায়, “এই অব্যবস্থার জন্য জগন্নাথদেবের লক্ষ লক্ষ ভক্ত আঘাত পেয়েছেন।” তাঁর প্রার্থনা, “যাদের জন্য এই অব্যস্থা, ঈশ্বর তাদের ক্ষমা করুন। আশা করব সরকারে যারা আছে তারা আত্মসমালোচনা করবে এবং সতর্ক হবে।” ওড়িশার কংগ্রেস নেতা ভক্ত চরণ দাস বলছেন, যা ঘটেছে সবটাই প্রশাসনিক গাফিলতির কারণে। তাঁর মতে, রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই অব্যবস্থা চলছে। শনিবার সপরিবারে ওই রথযাত্রায় অংশ নিয়েছেন শিল্পপতি গৌতম আদানি। সেই কথা তুলেও সরকার তথা প্রশাসনকে কটাক্ষ করেছেন তিনি। “শুনলাম পুরীতে কোন ভিভিআইপি আসছেন। গোটা পুলিশ প্রশাসন কি সেখানেই পড়ে রয়েছে?”, প্রশ্ন কংগ্রেস নেতার।