নয়াদিল্লি : গত কয়েক বছরে একাধিক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী থেকেছে দেশ। এবার ফের প্রকাশ্যে এল তেমনই এক নারকীয় ঘটনা। লাল ট্রলিব্যাগের ভিতরে সিমেন্টের বস্তা। তার ভিতরে যুবকের দেহ! ঘটনাস্থল রায়পুর। হত্যায় যুক্ত থাকার অভিযোগে এক দম্পতিকে বুধবার গ্রেফতার করা হয়েছে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে।
ছত্তিশগড়ের রায়পুরের একটি কলোনির নির্জন জায়গায় রাস্তার ধারে ট্রলিব্যাগ থেকে যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। জানা যায়, মৃতের নাম কিশোর পাইকরা। বয়স ৪৫ বছর। তিনি চাঙ্গোরাভাথা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। যুবক বিশেষভাবে সক্ষম বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে খুনে দিল্লি এয়ারপোর্ট থেকে ধৃত দু’জন সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। তাঁদের নাম অঙ্কিত উপাধ্যায় ও শিবানী উপাধ্যায়। অঙ্কিত পেশায় আইনজীবী। তাঁর বাবা পুলিশে কর্মরত ছিলেন।
যে স্থান থেকে মৃত যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ দম্পতির হদিশ পায়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, যে গাড়িটি কিশোরের দেহ ফেলে যায় সেই গাড়ির পিছনে আরও একটি গাড়ি ছিল। সেই গাড়িতেই ছিলেন দম্পতি। পিছনে মুখ ঢেকে বসেছিলেন শিবানী।
এপ্রসঙ্গে রায়পুরের এসএসপি লাল উম্মেদ সিং জানিয়েছেন, দিল্লি বিমানবন্দর থেকে খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ এবং স্থানীয় বিক্রেতাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সন্দেহভাজনদের খোঁজ পাওয়ার পর ছত্তিশগড় পুলিশের একটি দল দিল্লি রওনা দেয়। তারপরই গ্রেফতার করা হয় দম্পতিকে। জানা গিয়েছে, কিশোর একটি জমি ৫০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেন। তাতে সাহায্য করেছিলেন পেশায় আইনজীবী অঙ্কিত। এদিকে, টাকা গুনে দেখার সময় কিশোর দেখেন, ২০ লাখ টাকা কম আছে। তা নিয়ে বাদানুবাদ শুরু হয় অঙ্কিত ও কিশোরের। সেই আক্রোশ থেকেই খুন বলে মনে করা হচ্ছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসা করে কারণ জানার চেষ্টা চলছে। দিল্লি থেকে রায়পুর আনা হচ্ছে অভিযুক্ত দম্পতিকে।