দিঘা: জগন্নাথধামে চলছে তোড়জোড়। রথযাত্রা উপলক্ষে দর্শনার্থীদের সমাগম বাড়ছে দিঘায়। এর মধ্যেই দিঘায় হোটেল ভাড়া শুনে চক্ষু চড়কগাছ সাধারণের। দিঘার হোটেল ভাড়া নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপ নিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন ও দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। হোটেল ভাড়া নিয়ে অভিযোগের প্রমাণিত হলেই হবে কড়া শাস্তি।
সোমবার দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের সভাকক্ষে নিউ দিঘা ও ওল্ড দিঘার হোটেল সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী। সেখানেই বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, অবিলম্বে সব হোটেল মালিকদের ভাড়ার তালিকা ঝোলাতে হবে। যে কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হলে হোটেল কর্তৃপক্ষ শাস্তির মুখে পড়তে পারে। ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। বাতিল হতে পারে লাইসেন্সও!
ভাড়ার তালিকা হোটেলগুলি না ঝোলালে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জেলাশাসক সাফ জানিয়েছেন। এই বিষয়ে সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে ২দিন সময় চাওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ভাড়ার তালিকা ঝোলানো হবে বলেও হোটেল সংগঠনের প্রতিনিধিরা আশ্বাস দিয়েছেন। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ পর্যটক পিছু ১০ টাকা করে পর্যটন কর নিয়ে থাকে। হোটেল কর্তৃপক্ষ সেই টাকা অনলাইনে জমা করেন। অভিযোগ, কোনও কোনও হোটেল পর্যটকদের মাথাপিছু সেই টাকা সংগ্রহ করেও জমা করছেন না। এসব অভিযোগ প্রমাণ হলে সেসব হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার কথাও বৈঠকে জানানো হয়েছে।
দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, “প্রায় হোটেলে ভাড়ার তালিকা রিসেপশনে ঝোলানো হয়েছে। ২০ শতাংশ হোটেলে বাকি রয়েছে। জেলাশাসক দ্রুত সমস্ত হোটেলে ভাড়ার তালিকা ঝোলানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা এই দু’দিন সময় চেয়েছি। তার মধ্যে সমস্ত হোটেলে ভাড়ার তালিকা ঝোলানো হয়ে যাবে।”
জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী বলেন, “পর্যটকদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রশাসনের নির্দেশ না মানলে, বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ যে হোটেলের বিরুদ্ধে উঠবে, আমরা তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।” তিনি আরও জানিয়েছেন, হোটেল বেশি ভাড়া নিলে, অনলাইনে পর্যটকদের নথি জমা না করলে এবং দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের নির্ধারিত পর্যটন শুল্ক ১০ টাকা জমা না করলে ব্যবস্থা করা হবে। অর্থাৎ হোটেলের বিরুদ্ধে কোনওরকম অভিযোগ এলে তা খতিয়ে দেখা হবে। প্রমাণিত হলে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।