কলকাতা : গত বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় চরম অসৌজন্যমূলক আচরণের দৃষ্টান্ত রেখেছিলেন বিজেপি বিধায়করা।(BJP MLA) আর চলতি সপ্তাহের প্রথম দিনেই বিধানসভা অধিবেশনের শুরুতে ফের বিশৃঙ্খলা তৈরি করলেন তাঁরা। বিধানসভার কাজে বাধা দেওয়া, কাগজ ছেঁড়ার মতো অসংসদীয় কাজে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেল তাঁদের। ৪ পদ্ম বিধায়ক — শংকর ঘোষ, মনোজ ওঁরাও, দীপক বর্মন ও অগ্নিমিত্রা পলকে গোটা অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করে দিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। মার্শাল ডেকে অধিবেশন কক্ষের বাইরে বের করে দেওয়া হয়। বাইরে বেরিয়ে তাঁরা ফের অবস্থান বিক্ষোভে বসেন।
Read More: জুড-আর্দা-ভালভার্দের গোল, পাচুকাকে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপে জয়ের পথে ফিরল রিয়াল
পাশাপাশি, কেউ কেউ বিধানসভার নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ, বিজেপি বিধায়ক(BJP MLA) সুদীপ মুখোপাধ্যায় মার্শালের কলার ধরে ধাক্কা দেন। আরেক বিধায়ক মিহির গোস্বামীও চেপে ধরেন মার্শালকে। নিরাপত্তারক্ষীরা পালটা বলপ্রয়োগ করে সবাইকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তারপরও অবশ্য বেশ কয়েকজন অধিবেশনে ছিলেন। তাঁরা ওয়েলে নেমে স্লোগান তুলতে থাকেন। এসব অশান্তির মধ্যে বিল নিয়ে আলোচনার শুরুর নির্দেশে দেন স্পিকার। এদিন প্রশ্নোত্তর পর্ব হওয়ার কথা থাকলেও তা বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলত অধিবেশনে নেতাজি সুভাষ ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত বিল নিয়ে আলোচনা শুরু হয় স্পিকারের নির্দেশে। সেসময় বিজেপি অধিবেশন বয়কট করে।
আর এরপরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হাতে কিছু নিয়ে একাই অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন। স্পিকারকে টুকরো কিছু দেখান। তাতে আলোচনায় ছেদ পড়ে। ক্ষুব্ধ স্পিকার স্পষ্ট বিরোধী দলনেতাকে বলেন, ”এইভাবে আপনি সভার কাজ বন্ধ করতে পারেন না।” শুভেন্দু দাবি করেন, বাইরে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্রর ঘড়ি ছিঁড়ে টুকরো হয়েছে, ভেঙে গিয়েছে শংকর ঘোষের চশমাও। স্পিকার সাফ জানান, ”এসব বাইরে গিয়ে প্রেসকে দেখান। এটা পাড়ার রক না। বাইরে গিয়ে বলুন।”
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1937097740913177009
যদিও স্পিকারের টেবিলের সামনেই দাঁড়িয়েছিলেন শুভেন্দু। সেসময় উলটোদিকের বেঞ্চ থেকে অরূপ বিশ্বাস, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, সুজিত বসুরা অভিযোগ করেন, বিজেপি বিধায়করা তাঁদের ডেস্ক ভেঙে দিয়েছে। স্পিকার তা শুনে স্পষ্ট জানান, যারা একাজ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে। এরপর বিধানসভার মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।