আহমেদাবাদ : বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদে ঘটে গিয়েছে মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনা। ওড়ার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ভেঙে পড়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীবাহী বিমান। আর এর পরেই বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারের(Dreamliner) সমস্ত বিমান ‘গ্রাউন্ড’ করার অর্থাৎ বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখার চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার সূত্র মারফত খবর পাওয়া গিয়েছে এমনটাই।
Read More: ‘লাকি’ নম্বর হয়ে উঠল মৃত্যুদূত! ১২/০৬-ই প্রাণ কাড়ল গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর
বিগত ২০১১ সাল থেকে আকাশে উড়ছে এই ড্রিমলাইনার। এর আগে একটিও বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েনি। তবে ড্রিমলাইনার(Dreamliner )নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। এই বিমানের সুরক্ষা পদ্ধতির ত্রুটি নিয়ে অতীতে প্রশ্ন তুলেছিলেন বোয়িং সংস্থারই এক শীর্ষ আধিকারিক। এরই মধ্যে ড্রিমলাইনারের সমস্ত বিমান গ্রাউন্ড করার চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্র। এই নিয়ে আমেরিকান সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানা গিয়েছে।

আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী উড়ানটি টেক অফ করার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। বিমানে থাকা ২৩০ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রু মেম্বারের মধ্যে ২৪১ জনেরই মৃত্যু হয়। বরাত জোরে বেঁচে যান একজন যাত্রী। এদিকে যে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে এই বিমান ভেঙে পড়ে সেখানেও প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকেই। দুর্ঘটনার পর বোয়িংয়ের তরফে জানানো হয়েছে, তারা এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। সব বিষয়ে এয়ার ইন্ডিয়াকে সহযোগিতা করার কথাও জানিয়েছে তারা। এদিকে বিমান তৈরি করার পর থেকে এখনও পর্যন্ত আড়াই হাজারের বেশি ৭৮৭ মডেলের বিমান বিক্রি করেছে বোয়িং।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1933564285822673020?s=19
সূত্র জানাচ্ছে, এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে এই মুহূর্তে এই মডেলের ৪৭টি বিমান রয়েছে। এই বিমানগুলিকে যদি গ্রাউন্ড করে দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে বিদেশ যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হতে চলেছেন অনেকেই। কোনও মডেলের বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়লে, সেই দুর্ঘটনার আসল কারণ যতদিন পর্যন্ত না জানা যায় ততদিন সেই মডেলের অন্য সমস্ত বিমান গাউন্ড করে দেওয়াই রীতি। তদন্তে যদি দেখা যায় দুর্ঘটনার কারণ পরিকাঠামোগত ত্রুটি নয়, তখন ফের দেওয়া হয় সেই পরিষেবা চালুর অনুমতি।