প্রতিবেদন: আহমেদাবাদের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে এখনও পর্যন্ত ২৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতও হয়েছেন অনেকেই৷ এয়ার ইন্ডিয়ার(Air India) তরফে মৃতদের পরিবার পিছু এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার সব দায়িত্বও নিয়েছে সংস্থা। এই প্রসঙ্গে জানা যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে দুর্ঘটনায় মৃতদের আর্থিক সাহায্য করতে বাধ্য বিমান সংস্থা। অতএব, আহমেদাবাদের এই দুর্ঘটনায় আন্তর্জাতিক আইন মানতে বাধ্য এয়ার ইন্ডিয়া।
Read More: গাফিলতির দায় কার! আহমেদাবাদের বিমান বিপর্যয়ে প্রশ্নের মুখে উড়ান সংস্থা
১৯৯৯ সালে উড়ান পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে তৈরি হয় ‘মন্ট্রিল কনভেনশন’। ভারতও তাতে স্বাক্ষর করেছে। অতএব আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত বিষয়গুলি আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে পড়ে। ওই নিয়ম অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক কোনও বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যাত্রীদের মৃত্যু হলে বা শারীরিক আঘাত লাগলে মৃত যাত্রীর পরিবারকে আর্থিক সাহায্য এবং আহত যাত্রীর চিকিৎসার খরচ বহন করতে বাধ্য সংশ্লিষ্ট বিমানসংস্থা।

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত অন্তত ২৬৫ জনের মৃত্যু! আহত আরও বেশ কয়েকজন। ইতিমধ্যেই অবশ্য সেটা এয়ার ইন্ডিয়ার(Air India) ‘মহানুভবতা’ নয়। বরং বাধ্যবাধকতা। আন্তর্জাতিক নিয়মেই বিমানসংস্থা দুর্ঘটনায় মৃতদের মোটা অঙ্কের আর্থিক সাহায্য করতে বাধ্য।
নিয়ম অনুসারে, এই আর্থিক সাহায্য ভারতীয় মুদ্রায় দেড় কোটি টাকারও বেশি হতে পারে। এই আর্থিক সাহায্য বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। সংশ্লিষ্ট যাত্রীর বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা, কর্মসংস্থান, শেষ পাওয়া বেতনের পরিমাণ, বৈবাহিক অবস্থা, সাধারণ আর্থিক অবস্থা এসবের উপর নির্ভর করে। যদি প্রমাণিত হয় দুর্ঘটনার নেপথ্যে সংশ্লিষ্ট সংস্থার গাফিলতি রয়েছে তাহলে আর্থিক সাহায্যের অঙ্কটা আরও বাড়বে।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1933469604829188262
এর পাশাপাশি, বিমান দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বিমার সুবিধাও পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে বিমানে ওঠার আগে সমস্ত যাত্রীকে নিজেদের উদ্যোগে ভ্রমণ বিমার জন্য অতিরিক্ত অর্থ দিতে হয়। নিয়ম অনুযায়ী, দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর ক্ষেত্রে ২৫ লক্ষ থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত বিমার টাকা পায় নিহতের পরিবার। স্থায়ী শারীরিক অক্ষমতার ক্ষেত্রে ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য করা হয়। এ ছাড়া দুর্ঘটনার জেরে চিকিৎসা খরচের জন্যেও সংশ্লিষ্ট বিমার টাকা পেতে পারেন তাঁরা।তবে এই নিয়মগুলি সবটাই আন্তর্জাতিক উড়ানের জন্য।