আহমেদাবাদ : ভারতের বিমানযাত্রার ইতিহাসের অন্যতম কালো দিন হয়ে রইল ১২ জুন। আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ওড়ার পরমুহূর্তেই ২০০-রও বেশি যাত্রীকে নিয়ে ভেঙে পড়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীবাহী বিমান এআই১৭১।(AI 171) ঘটনায় বিপুল হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, বিমানটিতে মোট ২৪২ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ২৩২ জন যাত্রী এবং ১০ জন ক্রু সদস্য। বিমানের পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সবরওয়াল। সহ-পাইলট তথা ফার্স্ট অফিসার ছিলেন ক্লাইভ কুন্দর। দুই দক্ষ ও অভিজ্ঞ পাইলট থাকা সত্ত্বেও কেন এড়ানো গেল না দুর্ঘটনা? প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
Read Morea: মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাদে আছড়ে পড়ল বিমান, একাধিক জুনিয়র ডাক্তারের মৃত্যুর আশঙ্কা
এদিন দুপুরে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে বিমানবন্দরের অদূরেই মেঘানিনগরের কাছে ভেঙে পড়ে উড়ানটি।(AI 171) মুহূর্তে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে সারা এলাকা। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দেশের অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ডিজিসিএ) সূত্রে খবর, বিমানের পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন সবরওয়াল। সঙ্গে ছিলেন সহ-পাইলট তথা ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দর। ক্যাপ্টেন সবরওয়ালের ৮,২০০ ঘণ্টা বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা ছিল। সহ-পাইলটের বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল ১,১০০ ঘণ্টা। অর্থাৎ দুই পাইলটের সম্মিলিত উড়ানের অভিজ্ঞতা ছিল প্রায় ১০ হাজার ঘণ্টার কাছাকাছি। তা সত্ত্বেও শেষরক্ষা হয়নি।

এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) জানিয়েছে, দুর্ঘটনার ঠিক আগের মুহূর্তে ‘মে ডে কল’ দেন পাইলট। তার পর ৬২৫ ফুট উচ্চতা থেকে প্রতি মিনিটে ৪৭৫ ফুট বেগে নামতে শুরু করে বিমানটি। এই উড়ানের গন্তব্য ছিল ব্রিটেনের গ্যাটউইক বিমানবন্দর। জানা গিয়েছে, রানওয়ে ছাড়ার পর পরই দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটে এটিসিকে ‘মে ডে কল’ করেন পাইলট। কিন্তু বিমানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও আর জবাব পাওয়া যায়নি। তার ঠিক কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই লোকালয়ের উপর ভেঙে পড়ে বিমানটি। সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়ে। ঘটনাস্থলে গিয়েছে দমকলের বহু ইঞ্জিন। আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্থানীয় সিভিল হাসপাতালে।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1933162960148422985?s=19