ইম্ফল: ১১ মে বিয়ের পরেই সেই মাসের ১৫ তারিখ বাপের বাড়িতে চলে আসে সোনম।(Sonam Raghubanshi) এরপর চারদিনের মধ্যেই স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা করে সে। ক্যাফেতে বসে তার প্রেমিক রাজা সহ তার ৩ বন্ধুর সঙ্গে খুনের ‘ব্লুপ্রিন্ট’ তৈরি করে সোনম। বুধবার প্রেমিক রাজ কুশওয়ার সঙ্গে মুখোমুখি জেরায় স্বীকার করে মূল অভিযুক্ত সোনম রঘুবংশী! বোন সোনমের ফাঁসির দাবি করেছেন তার দাদা। জানা যাচ্ছে, মঙ্গলসূত্র আর পায়ের আংটি হাতে আসতেই পুলিশের সন্দেহের জালে জড়িয়ে পড়ে সোনম।
Read More: যথাসময়েই শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা ও কলেজে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি, সাফ জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
হিন্দুদের বিবাহিতা মহিলাদের চিহ্ন হল মঙ্গলসূত্র, পায়ের আংটি। সেই বৈবাহিক প্রতীককেই একটি হোমস্টেতে খুলে রেখেছিল সোনম।(Sonam Raghubanshi) রঘুবংশী দম্পতি নিখোঁজ হওয়ার পরে একটি হোমস্টে থেকে তাঁদের অন্যান্য মালপত্রের সঙ্গে সোনমের মঙ্গলসূত্র ও পায়ের আঙুলের আংটি পায় পুলিশ। এতেই সন্দেহ বাড়ে তদন্তকারীদের। এরপরেই তদন্তের মোড় ঘুরে যায়।

এদিকে সোনমের স্বীকারক্তির পর দাদা গোবিন্দ রঘুবংশী নৃশংস অপরাধের জন্য বোনের ফাঁসির সাজার দাবি করলেন। বুধবার তিনি বলেন, আমিও সোনমের ফাঁসি চাই। আমি নিজে রাজার তরফের আইনজীবীর সঙ্গে থাকব। সোনম আমায় ওরাজ কুশওয়াহকে বাড়িতে একসঙ্গে রাখী পরিয়েছিল। কিন্তু ভিতরে তাদের এমন সম্পর্ক! ভাবতে পারছি না।” গোবিন্দ বুধবার রাজার মায়ের মা ধরে ক্ষমাও চান।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1933084967741149338
তদন্ত এগোতেই আরও জানা গিয়েছে, প্রথমে রাজকে শিলং পাহাড়ের গভীর খাদে ফেলে দুর্ঘটনার তত্ত্ব সাজানোর ছক কষেছিলেন রাজ ও সোনম। কিন্তু রাজা নিয়মিত শরীরচর্চা করতেন, তাঁকে দু’জনে মিলে কাবু করতে পারবেন না ভেবেই ভাড়াটে খুনি দিয়ে খুনের দ্বিতীয় পরিকল্পনা করা হয়। শেষ পর্যন্ত সেই পরিকল্পনাই বাস্তবায়িত করা হয়।