দিঘা : সামনেই রথযাত্রা। দিঘার নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দিরে জোরকদমে চলছে তার প্রস্তুতি। পাশাপাশি, পুরীর মন্দিরের সব নিয়ম মেনেই দিঘার জগন্নাথধামে চলছে উপচার ও ভোগ নিবেদন। পুরীর মন্দিরে মা বিমলাকে নিবেদন করে সেই ভোগ প্রভু জগন্নাথকে দেওয়া হয়। তাতেই সেই ভোগ পরিণত হয় মহাপ্রসাদে।(Mahaprasad) দিঘার জগন্নাথ মন্দিরেও সেই পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। আজ দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের মহাপ্রভুকে নিবেদন করা সেই মহাপ্রসাদের খোয়া ক্ষীরই বিলি হবে রাজ্যজুড়ে। ইতিমধ্যেই সেই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Read More: মধুচন্দ্রমায় গিয়ে স্বামীকে খুন! মেঘালয় কাণ্ডে সোনমের গ্রেফতারির পরই প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য
সোমবার সকালের মধ্যেই কলকাতার নির্দিষ্ট জায়গা থেকে খোয়া ক্ষীর পৌঁছবে জগন্নাথ মন্দিরে। বেলা সাড়ে ১১টায় সেই খোয়া ক্ষীর ভোগ হিসাবে নিবেদন করা হবে। তা মহাপ্রসাদ হয়ে এলে আজই তা বিভিন্ন ভাগে বিভিন্ন গাড়িতে তা রওনা হবে জেলায় জেলায় বিতরণের জন্য। কালীঘাটের মন্দিরের সঙ্গে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের বিশেষ যোগসূত্র রয়েছে। সেই সূত্রেই কালীঘাটে মায়ের ভোগে যে পেঁড়া দেওয়া হয়, সেই পেঁড়াকেই জগন্নাথ দেবের ভোগ হিসাবে রাখা ঠিক হয়েছে। মন্দিরের নিত্যপুজোর দায়িত্বে থাকা ইসকনের সহ-সভাপতি রাধারমণ দাস জানিয়েছেন, “কালীঘাটের মা কালীই তো জগন্নাথ মন্দিরের মা বিমলা। সেই মা’কে ভোগ নিবেদন করলে ভোগ মহাপ্রসাদ(Mahaprasad) হয়ে যায়। তখনই তা মহাপ্রভুকে নিবেদন করা হয়।”
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1931994974729687482
প্রসঙ্গত, আগামী ১১ জুন জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা। এই স্নানযাত্রার পর মহাপ্রভুর জ্বর আসে। ১২ জুন থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত শাস্ত্রীয় বিধি মেনে সেই সময়টায় ভক্তদের দর্শন বন্ধ। ২৬ জুন অর্থাৎ রথযাত্রার একদিন আগে আবার মন্দিরের দ্বার খুলবে। ওই দিন বিপুল জনসমাগম হবে ধরে নিয়েই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে প্রশাসন। একইভাবে রথযাত্রার ন’দিনের মাথায় ৫ জুলাই উল্টো রথের দিনও নিরাপত্তা কড়াকড়ি করা রয়েছে। তবে পুরীর মন্দিরের রীতিতে যেমন সেই শাস্ত্রীয় বিধি মেনে মন্দিরে ফেরার দিনই জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা ‘গৃহে’ ঢুকতে পারবেন না। লক্ষ্মীদেবী তাঁদের ঘরে ঢুকতে দেবেন না। ৬ ও ৭ জুলাই মন্দিরের বাইরেই রথে দর্শন দেবেন মহাপ্রভু। ৮ জুলাই তাঁরা মন্দিরে প্রবেশ করবেন।