ওয়াশিংটন: এবার অভিবাসন আইন নিয়ে কঠোর নীতি চাপাল ট্রাম্প(Donald Trump) প্রশাসন। ১২টি দেশের নাগরিকদের প্রবেশাধিকারে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি আরও ৭টি দেশের উপর চাপানো হল আমেরিকায় প্রবেশে আংশিক নিষেধাজ্ঞা।
Read More: রোনাল্ডোর জয়সূচক গোল, জার্মানিকে হারিয়ে উয়েফা নেশনস লিগের ফাইনালে পর্তুগাল
গত রবিবার কলোরাডোর একটি শপিং মলের বাইরে জমায়েত লক্ষ্য করে ‘ফায়ার বম্ব’ ছোড়েন মিশরের এক নাগরিক। স্লোগান দেন ‘প্যালেস্টাইনকে মুক্ত করো!’ এই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনেই জাতীয় নিরাপত্তা সুনিকরতে এই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দেন ট্রাম্প। ডোনাল্ড ট্রাম্প(Donald Trump) সোশ্যাল মিডিয়াতে লেখেন, “এমন কোনও দেশ থেকে অভিবাসীদের ঢুকতে দিতে পারি না, যেখানে আমরা নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য ভাবে কিছু যাচাই করে দেখতে পারি না। সেই কারণে আমি নতুন প্রশাসনিক নির্দেশিকায় সই করতে চলেছি।’’

ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইসলামিক সন্ত্রাসবাদীদের ঢোকা রুখতেই তাঁর এই পদক্ষেপ। ট্রাম্পের ঘোষণার পর হোয়াইট হাউসের অন্যতম মুখপাত্র আবিগেল জ্যাকসন বলেন, “ভয়ঙ্কর বিদেশিদের হাত থেকে আমেরিকার নাগরিকদের রক্ষা করার যে প্রতিশ্রুতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দিয়েছিলেন, তা তিনি রক্ষা করতে চলেছেন। তারা আমাদের দেশে আসতে চায় এবং আমাদেরই ক্ষতি করতে চায়।”
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1930580603747131395
ট্রাম্পের ঘোষণার পরে আগামী ৯ জুন থেকে আমেরিকায় ঢুকতে পারবেন না আফগানিস্তান, মায়ানমার, চাদ, রিপাবলিক অফ কঙ্গো, ইকিউটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেনের বাসিন্দারা। প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে আংশিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান এবং ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের উপর।