বেঙ্গালুরু : দীর্ঘ ১৮ বছর পর আইপিএল ট্রফি জিতেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। বিরাটদের জয়ের উদযাপন চাক্ষুষ করতে বুধবার চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে ভিড় জমিয়েছিলেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। কিন্তু কে জানত, এই জয়োল্লাসের আড়ালেই রয়েছে মৃত্যুর করাল হাতছানি! বিপুল ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট(Bengaluru Stampede) হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন। তাদের প্রত্যেকেরই বয়স চল্লিশ বছরের নীচে। অন্তত ৩ জন নাবালক, জানা যাচ্ছে এমনটাই।
Read More: প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিস্থিতি! উত্তরবঙ্গে যাবে রাজ্যের প্রতিনিধি দল, রিপোর্ট নেবেন মমতা
এদিনের দুর্ঘটনার পর মৃতদের শনাক্ত করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে ৩ জনের বয়স ঊনিশের কম। ৬ জনের বয়স ২০-৩০ বছরের মধ্যে। দুজনের বয়স তিরিশের বেশি। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে একজন ১৩ বছরের নাবালিকাও রয়েছে। অন্যান্য মৃতদের নাম ডোরেশা (৩২ বছর), ভূমিকা (২০ বছর), সাহানা (২৫ বছর), অক্ষতা (২৭ বছর), মনোজ (৩৩ বছর), শ্রাবণ (২০ বছর), দেবী (২৯ বছর), শিবলিঙ্গ (১৭ বছর), চিন্ময়ী (১৯ বছর), প্রজ্জ্বল (২০ বছর)।(Bengaluru Stampede)

কর্ণাটক সরকারের দাবি, বিনামূল্যে স্টেডিয়ামে প্রবেশের অনুমতি দেওয়াটাই ভুল হয়েছে। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা মাত্র ৩৩ হাজার। কিন্তু সেখানে দু’তিন লক্ষের বেশি মানুষ প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন। তার ফলে স্টেডিয়ামের ছোট দরজা ভেঙে যায়। “এত মানুষ চলে আসবেন, আমরা ভাবতে পারিনি। স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ৩৩ হাজার। সেখানে দু’তিন লক্ষ মানুষ ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। স্টেডিয়ামের দরজাটাও ছোট। ভিড়ের ঠেলায় তা ভেঙে যায়। এই জমায়েত কেউ আশা করেননি”, জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1930553835577045264
তবে সরকার যতই সাফাই দিক না কেন, পুরোপুরি অব্যবস্থাকেই দায়ী করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁদের অভিযোগ, ভিড় নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ পুলিশ, মেলেনি অ্যাম্বুল্যান্স, ছিল না ন্যূনতম ব্যবস্থাপনাটুকুও। পর্যাপ্ত পুলিশ না থাকায় ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। আবার আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার মতো অ্যাম্বুল্যান্সও ছিল না। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল কিছু ভিডিওতে দেখা যায়, আহতদের কোলে করে নিয়েই ছুটছেন পুলিশকর্মীরা। আবার কাউকে কাউকে ওই ভিড়ের মধ্যেই সিপিআর দিতে হয়েছে। অর্থাৎ, গাফিলতি যে পুরোমাত্রায় ছিল, তা বলাই বাহুল্য।