কলকাতা : দেশজুড়ে ক্রমশই মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা সংক্রমণ।(Covid19) কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪ হাজার। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে দেশে কোভিড আক্রান্ত ৪ হাজার ৩০২। এমতাবস্থায় বাংলায় সরকারি হাসপাতালে ‘অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা’ পরখ করে নিতে আজ থেকেই শুরু হল মক ড্রিল।
Read More: ‘সবুজ বাঁচাও’, স্বরচিত গানে বিশ্ব পরিবেশ দিবসের শুভেচ্ছাবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে বার্তা এসেছিল। গত ২ এবং ৩ জুন ডিরেক্টর জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিস ডাঃ সুনীতা শর্মা উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠক ডাকেন। সে বৈঠকে হাজির ছিল বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর, এমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট রেসপন্স সেল, ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের সদস্যরা। উপস্থিত ছিল বাংলা-সহ প্রতিটি রাজ্যের প্রতিনিধিরাও। সকলের মেনে নিয়েছেন, নতুন ভ্যারিয়্যান্ট অত্যন্ত ছোঁয়াচে হওয়ায় উত্তরোত্তর বাড়ছে রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে নতুন করে ৮২৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন কোভিডে। তবে চিকিৎসকরা আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, অধিকাংশ রোগীর শরীরে কোভিডের নয়া প্রজাতি তেমন কোনও ক্ষতি করতে পারছে না। অধিকাংশ আক্রান্ত বাড়িতেই চিকিৎসা করে সুস্থ হয়ে উঠছেন। যাঁদের শরীরে কিডনির অসুখ-ক্যানসারের একাধিক কোর্মবিডিটি রয়েছে, বিপদ তাঁদেরই।

ভারতে গত ১ জানুয়ারি থেকে ৪ জুন পর্যন্ত কোভিড(Covid19) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪৪ জনের। এদের সকলেরই কোর্মবিডিটি ছিল। প্রবীণ নাগরিকদের নিয়ে চিন্তিত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তাদের তরফে প্রতিটি রাজ্যকে বলা হয়েছে কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন, আইসোলেশন বেড, ভেন্টিলেটর তৈরি রাখতে। স্বাস্থ্যদফতর সূত্রে খবর, অক্সিজেন সাপ্লাই সিস্টেমকে ফের ঝালিয়ে নিতে সরকারি হাসপাতালগুলিতে বুধবার থেকে মকড্রিল আরম্ভ হয়েছে।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1930544207413780516
জনসাধারণের জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সতর্কবার্তা, “জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে বাড়ি থেকে বেরবেন না। এমন অবস্থায় এড়িয়ে চলুন জনবহুল জায়গা। ফুসফুসে যে কোনও ধরনের সংক্রমণে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন, হাঁচি-কাশি হলে নাকে-মুখে রুমাল চাপা দিন।” বাংলাতেও বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসক। স্বাস্থ্যদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার থেকে জ্বর-সর্দির উপসর্গ দেখা যায় ওই চিকিৎসকের মধ্যে। এরপর তিনি লালারসের নমুনা পরীক্ষা করেন। সেখানেই কোভিড পজিটিভ ধরা পড়ে তাঁর।
জানা গিয়েছে, কোভিডের নতুন এই প্রজাতি ভীষণ ছোঁয়াচে। সকলে টেস্ট করছেন না। যেহেতু সাধারণ ফ্লুয়ের সঙ্গে এর উপসর্গ এক, তাই বুঝতেও পারছেন না। তা নিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন। ফলে অসুখ ছড়াচ্ছে দ্রুত। জ্বর এলে নিজে নিজে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।