আলিপুরদুয়ার: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন! তার আগেই জোরকদমে রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের ঘাঁটি শক্ত করতে ব্যস্ত। এর মাঝেই ছাব্বিশের নির্বাচনের আগেই বাংলায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আলিপুরিদুয়ার থেকেই তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করে একের পর এক তির ছুড়েছেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর সেই ‘কুৎসা’র জবাব দিতে পালটা ‘বুথ চলো’(‘Booth Chalo’) কর্মসূচি শুরু করছে তৃণমূল।
Read More: পিছু ছাড়ছে না বৃষ্টির ভ্রূকুটি! আহমেদাবাদে আইপিএল ফাইনালের আগে চিন্তায় ক্রিকেটপ্রেমীরা
ছাব্বিশে তৃণমূলের টার্গেট, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির মতো জেলাগুলির একাধিক বিধানসভা আসন ঘাসফুলের দখলে আনা। সেই লক্ষ্যে এখন থেকেই নয়া পদ্ধতিতে জোরকদমে প্রচার শুরু করতে চাইছে শাসক শিবির। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সমস্ত কটাক্ষের পাল্টা জবাব দিতেও তৎপর তৃণমূল। সেজন্যই এই ‘বুথ চলো’(‘Booth Chalo’) কর্মসূচি। মঙ্গলবার ‘বুথ চলো’ কর্মসূচির ঘোষণা করলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক।
এই কর্মসূচির জন্য পাঁচটি ভাষায় লিফলেট ছাপানো হবে। তা বুথে বুথে জনগণকে বিলির কাজ করবেন দলীয় কর্মীরা। এই কর্মসূচির মধ্যেই জেলায় যেতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তরফে লিফলেট ছাপতে দেওয়া হয়েছে। তা হাতে এলেই শুরু হবে ‘বুথ চলো’ অভিযান।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1929867069979611349
গত ২৯ মে আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ড মাঠে জোড়া সভা থেকে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপরেই জেলায় বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করে। জেলা তৃণমূলের সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, “ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেডের সরকারি টাকায় প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সভা করেছেন। আমরা আরটিআই করে এই সভায় বিপিসিএল (ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড) কত টাকা খরচ করেছে, তা জানতে চাইব। এয়ারপোর্ট, হাসপাতাল কিছুই দেননি প্রধানমন্ত্রী।”
প্রকাশ চিক বরাইক আরও জানিয়েছেন, “প্রধানমন্ত্রী আমাদের জেলায় এসে শুধু রাজনৈতিক মিথ্যাচার করে গেছেন। আমরা বুথে বুথে গিয়ে আমাদের সরকারের উন্নয়নের বার্তা পৌঁছব। জেলার জন্য সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প বাংলা, হিন্দি, সাদরি, নেপালি ও ইংরাজি – এই পাঁচ ভাষায় ছাপানো হবে। ওই লিফলেট নিয়েই আমরা ‘বুথ চলো’ অভিযান করব। প্রধানমন্ত্রী জেলার আদিবাসী, গোর্খা, মেচ, রাভা-সহ কোনও জনজাতির জন্য কিছু ঘোষণা করেননি। জেলার মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন।”