কাটোয়া : সম্প্রতিই কলকাতার ধর্মতলায় বিপুল পরিমাণ কার্তুজ-সহ এসটিএফের হাতে ধরা পড়েছেন কেতুগ্রামের যুবক রামকৃষ্ণ মাজি। অভিযোগ উঠেছিল, এই অস্ত্র সরবরাহের সঙ্গে জড়িত বিজেপির(Bengal BJP)কোনও বড় নেতা। পদ্ম-নেতৃত্ব এই অভিযোগ উড়িয়ে দিলেও সোমবার যা প্রকাশ্যে এল, তাতে ঘুম উড়েছে তাদের। বিজেপির একাধিক পোস্টারে সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দেখা গিয়েছে অভিযুক্ত রামকৃষ্ণের ছবি!
Read More: দলীয় নেত্রীকে জড়িয়ে ধরে অশালীন আচরণ বিজেপি নেতার! ভিডিও ঘিরে তোলপাড় যোগীরাজ্য
গত রবিবার কেতুগ্রাম থেকে বাসে কলকাতায় রামকৃষ্ণকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। তাঁর কাছ থেকে ১২০ রাউন্ড কার্তুজ ও নগদ টাকা উদ্ধার হয়। এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় বারবার তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করেছে রামকৃষ্ণ। তৃণমূলের অভিযোগ, রামকৃষ্ণ বিজেপির(Bengal BJP)সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। দলের পদেও ছিলেন তিনি। কার্তুজ উদ্ধার বা অস্ত্র পাচারের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন বিজেপির আরও বড় কোনও নেতা, এমনই জানায় ঘাসফুল শিবির।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কেতুগ্রাম ১ ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম কুলুনের বাসিন্দা রামকৃষ্ণ তাঁর কাকা ঈশান মাজির কাছে সপরিবারে থাকেন। বাবা বাপি মাজি রংমিস্ত্রির কাজ করেন। মা-বাবা থাকেন বেলুড়ে। কুলুন গ্রামে মাঠের ধারে রামকৃষ্ণদের বাড়ি। রামকৃষ্ণ বিবাহিত। স্ত্রী ও আড়াই বছরের মেয়ে রয়েছে। পারিবারিক একটি বলেরো গাড়ি রয়েছে। ওই গাড়ি চালাতেন রামকৃষ্ণ। কাকা ঈশান মাজির দাবি, গাড়িটি তাঁরই, ভাইপো তা চালাতেন। কেউ কেউ বলছেন, ওই গাড়িটি রামকৃষ্ণ ঋণ করে কিনেছেন। প্রতি মাসে তিনি ১৯ হাজার টাকা কিস্তি দেন।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1926986988445405314?s=19
পাশাপাশি জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে কেতুগ্রাম বিধানসভার বিজেপির সাংগঠনিক ৪৬ নম্বর মণ্ডলের তপসিলি মোর্চার সভাপতির পদে ছিলেন রামকৃষ্ণ। সামাজিক মাধ্যমে রামকৃষ্ণর বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ছবি-সহ নিজের পদ উল্লেখ করে ছবিও পোস্ট করেছিলেন। যা ফের প্রকাশ্যে আসামাত্রই চাপানউতোর শুরু হয়েছে এলাকার রাজনৈতিক পরিসরে। সরব হয়েছেন পাণ্ডুগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি লক্ষণ মণ্ডল। “রামকৃষ্ণ মাজি দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় বিজেপি কর্মী। এলাকায় সন্ত্রাস করারও অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। এছাড়া আরও বদনাম রয়েছে। আমরা চাই এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক”, স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি।