কলকাতা : ভারতের ক্রমাগত চাপের মুখে পড়ে বুধবার হুগলির বিএসএফ জওয়ান(BSF Jawan) পূর্ণম কুমার সাউকে মুক্তি দিয়েছে পাকিস্তান সেনা। টানা ২২ দিন তাঁকে বন্দি করে রেখেছিল পাক রেঞ্জার্স। এক করতে দেওয়া হয়নি চোখের পাতা। সবসময় কালো কাপড়ে বাঁধা ছিল চোখ। মুক্ত হয়েই সেই বন্দিদশার বিবরণ দিলেন পূর্ণম।
Read More: অনিয়ম রুখতে বড় পদক্ষেপ রাজ্যের, অনলাইনেই মিলবে নতুন গাড়ির পারমিট
গত এপ্রিলে পহেলগাঁওয়ে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার পরদিনই ভুল করে পাক ভূখণ্ডে ঢুকে পাক রেঞ্জার্সের হাতে বন্দি হন বিএসএফ জওয়ান(BSF Jawan) পূর্ণমকুমার সাউ। দুই দেশের দফায় দফায় বৈঠকের পর অবশেষে বুধবার সকালে পাক সেনার হাত থেকে মুক্তি পেয়েছেন পূর্ণম। তারপর নিয়ম মেনে হয়েছে শারীরিক পরীক্ষা। দফায় দফায় বিএসএফ কর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে। সেখানেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
বিএসএফ সূত্রে জানা যাচ্ছে, আটক করার পর থেকেই অধিকাংশ সময়ই চোখ বেঁধে রাখা হয়েছিল পূর্ণমের। তবে মোট তিন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। তারমধ্যে ছিল এয়ারবেসও। এয়ারক্রাফ্টের শব্দ শুনে এমনটাই অনুমান করেছেন পূর্ণম। গারদেও রাখা হয়েছিল তাঁকে। শারীরিক অত্যাচার না করা হলেও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করে দেওয়া হয়েছে। ঘুমোতে দেওয়া হয়নি। চলেছে অশ্রাব্য গালিগালাজও।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1922959969344692491
পাশাপাশি জানা গিয়েছে, বিএসএফের একাধিক গোপন তথ্য আদায়ের চেষ্টাও করেছিল পাক সেনা। সীমান্তে কীভাবে সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে, সেই সংক্রান্ত খবর জানার চেষ্টা চলেছে। একাধিক অফিসারদের ব্যক্তিগত তথ্য ও নম্বরও আদায়ের চেষ্টা করেছে পাক সেনা, এমনটাই খবর। তবে পূর্ণমের কাছে ফোন না থাকায় তারা বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি।