কলকাতা: রাজ্যের দরিদ্র মানুষের মাথার উপর স্বস্তির ছাদ তুলে দিতে ‘বাংলার বাড়ি'(Banglar Bari) প্রকল্পের সূচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে প্রথম কিস্তির টাকা। আর চলতি মাসেই ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেবে রাজ্য। প্রথম পর্যায়ে আট লক্ষ উপভোক্তার টাকা নবান্ন ছাড়তে চলেছে বলে জানা গিয়েছে রাজ্য অর্থদফতর সূত্রে।
Read More: আইনশৃঙ্খলায় নজরদারি বাড়াতে নয়া মহকুমা মুর্শিদাবাদে, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
উক্ত আট লক্ষ উপভোক্তার বাড়ির লিনটেল বা লিনটন পর্যন্ত কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। তাই এঁদের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা আগেই ছাড়া হচ্ছে। বাকি চার লক্ষ উপভোক্তা যাতে লিনটন পর্যন্ত বাড়ি তৈরির কাজ দ্রুত শেষ করেন, তার জন্য নিয়মিত পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছে পঞ্চায়েত দফতর। ফলে মে মাসের মধ্যে এঁদের অ্যাকাউন্টেও দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পৌঁছে দেওয়া যাবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক মহল। কেন্দ্রের মোদী সরকার প্রধানমন্ত্রী আবাস প্রকল্পের টাকা না দেওয়ায় রাজ্যের নিজস্ব খরচে বাংলার প্রান্তিক মানুষের জন্য বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এক এক জনকে দেওয়া হচ্ছে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। মোট ২৮ লক্ষ উপভোক্তার মধ্যে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ১২ লক্ষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা করে পাঠিয়েছে রাজ্য।
রাজ্যের জারি করা ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর’ অনুযায়ী, লিনটেল পর্যন্ত কাজ অগ্রসর হলে তবেই একজন উপভোক্তাকে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া হবে। প্রায় আট লক্ষ উপভোক্তা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সেই কাজ করতে পারলেও প্রায় ২০ হাজার উপভোক্তা এখনও বাড়ি তৈরির কাজ শুরুই করতে পারেননি। বাকিরা কাজ শুরু করলেও লিনটেল পর্যন্ত কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। এ বিষয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানান, “মে মাসে ১২ লক্ষ উপভোক্তা দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাবেন বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই নির্দেশ কার্যকর করতে আমরা বদ্ধপরিকর। ইতিমধ্যে নিয়মিত পরিদর্শনের মাধ্যমে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। মে মাসেই ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে আমরা দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দিতে পারব।”
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1919693710746407119
রাজ্য অর্থদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ে আট লক্ষ উপভোক্তাকে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দিতে প্রায় ৪৮০০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। এই অর্থ বরাদ্দ নিয়ে প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা পঞ্চায়েত দফতরের সঙ্গে নবান্নের শীর্ষকর্তাদের বৈঠক হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। অবিলম্বে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ছাড়া হবে। পাশাপাশি, মুর্শিদাবাদে সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩০০ পরিবারকে ‘বাংলার বাড়ি’(Banglar Bari) প্রকল্পের অধীনে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। তাঁদের প্রথম কিস্তির টাকা দিতে শীঘ্রই অর্থদফতর প্রয়োজনীয় অনুমোদন দিতে চলেছে বলে জানিয়েছে নবান্ন সূত্র।