শালবনি : শিল্পোন্নয়নে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলা। সোমবার শালবনিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই জিন্দল গোষ্ঠীর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিটের শিলান্যাস হল। এর মাধ্যমে মোট ১৬০০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন রাজ্যের বিদ্যুৎ সংকট পুরোপুরি মিটিয়ে ফেলতে সক্ষম হবে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তৈরি হবে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ। উন্নয়নমূলক কাজের পাশাপাশি তিনি এদিনও রাজ্যে সম্প্রীতি বজায়ের বার্তা দিলেন মমতা। ”আমি এটুকুই চাই, সবাই সবাইকে ভালোবাসুন, ভালো থাকুন”, জানালেন তিনি।
ইতিমধ্যেই শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে রাজ্যবাসীকে খোলা চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার শালবনিতে শিল্প সূচনায়ও সেই প্রসঙ্গ আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন।।মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বললেন, ”আমাদের দেশ বৈচিত্র্যের। একেক রাজ্যে একেকরকম সৌন্দর্য, একেকরকম খাওয়াদাওয়া, একেকরকম উৎসব। কিন্তু আমাদের বিশেষত্ব হল এই বৈচিত্র্যের মধ্যেই ঐক্য আছে। সেটা ভাঙার নয়, বরং আরও ঐক্যবদ্ধ হওয়া আমাদের লক্ষ্য। সকলে কাজের মধ্যে থাকুন। মনে রাখবেন, ইতিবাচকতাই মনের জোর বাড়ায়। পজিটিভ কথা শুনলে চাঙ্গা হতে পারবেন। আর নেগেটিভ কথা শুনলে তা মনের মধ্যে গেঁথে থাকে।”
পাশাপাশি, বিরোধীদের কুৎসার জবাব দিতেও ভোলেননি মমতা। ”যারা বলছেন, কিছু হচ্ছে না, তারা নিজের চোখে দেখুন কী ছিল আর কী হয়েছে। এখানে মনে আছে, জিন্দলদের সিমেন্ট কারখানারও উদ্বোধন করেছিলাম আমি। এখানে এখন কাজ চলছে। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে কত প্রস্তাব এসেছিল, কত কার্যকর হয়েছে। সেসব হিসেব আমি দিয়েছি। ১৯ হাজার কোটি বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছিল। ১৬ হাজার কোটির কাজ চলছে। বাকি প্রকল্পের কাজও দ্রুত শুরু হবে। তাই বলছি, আমার সমালোচনা করুন, কিন্তু অবহেলা করতে পারবেন না। আমরা কথা নয়, কাজে বিশ্বাস করি।ডাক্তার দেবী শেঠি কথা দিয়েছিলেন আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন। সেইমতো কাজ শুরু করেছেন রাজারহাটে একটি হাসপাতালের। আমরা শিলান্যাস করব”, স্পষ্ট জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।