নয়াদিল্লি: সম্প্রতিই মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ বিল সংক্রান্ত হিংসার জেরে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন চেয়ে শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী বিষ্ণু শংকর জৈন। এবার তার পালটা দিল সুপ্রিম কোর্ট। ভারতের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি বি আর গভাই বলেন, বাংলা নিয়ে নির্দেশ দিলে তো অভিযোগ উঠবে আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করছে বিচারব্যবস্থা।
কিছু ধরেই বারবার অভিযোগ উঠছে, বিচারপতিরা আইনসভাকেও নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছেন। সরাসরি বিচারব্যবস্থাকে নিশানা করেছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকরও। গত ১১ এপ্রিল আইনসভায় পাশ হওয়া বিল নিয়ে ঐতিহাসিক মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, আইনসভা থেকে পাশ হয়ে আসা বিল অনন্তকাল আটকে রাখতে পারেন না রাষ্ট্রপতি। তিনমাসের মধ্যে তাঁকে মতামত জানিয়ে দিতে হবে। রাজ্যপালদের জন্যও ওই একই নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।
এতেই গোঁসা হয় ধনকরের। তিনি সাফ জানান, সংবিধানের ১৪২ ধারাকে পরমাণু মিসাইলের মতো ব্যবহার করছে বিচারব্যবস্থা। ধনকরের সুরে সুর মিলিয়ছেন বিজেপি একাধিক নেতা-নেত্রী। পদ্ম-সাংসদ নিশিকান্ত দুবে ওয়াকফ আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে নিশানা করে বলেন, “যদি আইন তৈরি করা সুপ্রিম কোর্টের কাজ হয় তাহলে সংসদ বন্ধ করে দিন। এই দেশে গৃহযুদ্ধ বাধলে জন্য দায়ী থাকবেন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না।” এহেন পরিস্থিতিতে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি।
বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন চেয়ে আইনজীবী বিষ্ণু শংকর জৈনের সওয়ালের জবাবে গভাইয়ের বেঞ্চ বলে, “আপনারা চাইছেন আমরা যেন রাষ্ট্রপতিকে এই নিয়ে নির্দেশ দিই। কিন্তু এটা করলে তো অভিযোগ উঠবে যে আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করছে বিচারব্যবস্থা।” পরের মাসেই প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন গভাই। সম্ভবত তাঁর এজলাসেই হবে ওয়াকফ মামলার শুনানি।