কলকাতা: সংঘের আপত্তি অমান্য করেই বিয়ে করছেন দিলীপ ঘোষ। গেরুয়া শিবিরের অন্দরেও এ নিয়ে আপত্তি জানানো হয়। এহেন জল্পনা নিয়ে বিজেপির অন্দরে বিতর্ক তুঙ্গে। তবে এই জল্পনার মধ্যেই এবার শুক্রবার সকালে দিলীপ ঘোষকে শুভেচ্ছা জানাতে হাজির হলেন বিজেপি ও সংঘের নেতা। তবে বিয়ের আগেই দিলীপকে শুভেচ্ছা জানানোর তড়িঘড়ি কেন! তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় রাজনৈতিক মহলে।
ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যম এবং সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে দিলীপের বিয়েতে প্রবল অনিচ্ছা ছিল সংঘের। সেই অনিচ্ছা উপেক্ষা করে বিয়ে করছেন দিলীপ। এর মধ্যেই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, দিলীপের বিয়েতে আমন্ত্রিত নন কেউই। দিলীপের বিয়েতে বিজেপি বা সংঘের কোনও নেতাকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। একেবারে ঘনিষ্ঠ মহল এবং দুই পরিবারের কয়েকজন আমন্ত্রিত। দলের বর্তমান নেতৃত্ব তো বটেই বিজেপির অন্দরে যারা টিম দিলীপ হিসাবে পরিচিত তাঁরাও আমন্ত্রিত নন। এবার এহেন পরিস্থিতিতে সংঘের বা দলের কোনও নেতা যদি দিলীপের বিয়েতে উপস্থিত না থাকেন, তাহলে নেতিবাচক বার্তা যেতে পারে। সে কারণেই তড়িঘড়ি বিনা আমন্ত্রণেই বিয়ের আগে শুভেচ্ছা দিতে হাজির হলেন বিজেপি ও সংঘের নেতারা।
আবার, বিজেপির অন্দরে দিলীপের অনুগামীর সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। সেখানে দিলীপের বিয়ে নিয়ে বিজেপির আপত্তি থাকাটা যেন দলের অন্দরে সংঘাত না বাড়ায় সেদিকেও নজর দিচ্ছে গেরুয়া শিবির। নেতাকর্মীরা অসন্তুষ্ট হলে চাপ বাড়ত গেরুয়া শিবিরের উপর। সব মিলিয়ে রীতিমতো বিড়ম্বনার পরিস্থিতি। সেই বিড়ম্বনা এড়াতেই সম্ভবত বিনা নিমন্ত্রণেই দিলীপকে শুভেচ্ছা জানানোর ঢল নামালেন বিজেপি নেতারা।
উল্লেখ্য, শুক্রের সকালেই উপহার হাতে দিলীপ ঘোষের বাড়িতে যায় বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, লকেট চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো-সহ অন্যান্যরা। দিলীপের নিউটাউনের বাড়িতে বেশ কিছুক্ষণ থাকেন তাঁরা। দিলীপের হাতে তুলে দেন ফুল, উপহার। কথা বলেন দিলীপের মায়ের সঙ্গে। শুভেচ্ছা গিয়েছে সংঘের তরফেও। সুনীল দেওধর, সতীশ ধন্দের মতো আরএসএস নেতারাও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দিলীপকে। তবে, বিয়ের শুভেচ্ছা পর্বটি সংঘ এবং দলের তরফে সেরে ফেলা হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার আগেই।