কলকাতা: রাজ্যে বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত করতে বদ্ধ পরিকর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষমতায় এসেই বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলায় বিনিয়োগ আনার পথ সুগম করেছেন মমতা। এবার সেই বাণিজ্য সম্মেলনের সফলতার অন্যতম উদাহরণ তৈরি করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। চলতি মাসের ২১ তারিখেই শালবনিতে জিন্দালদের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং তার পরদিন গোয়ালতোড়ে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলেও আশায় স্থানীয়রা।
শালবনিতে ৮০০ মেগাওয়াট করে ২টি প্ল্যান্ট তৈরি হচ্ছে। জিন্দালরা ১৬ হাজার কোটি টাকার উপর বিনিয়োগ করেছেন। এবার সেই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রেরই উদ্বোধন। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে এই উদ্বোধনের কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “শিল্পের নতুন গন্তব্য বাংলা। আগামী ২১ এপ্রিল দুপুর দুটোয় শালবনিতে জিন্দালদের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন।”
এই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “যত দিন যাচ্ছে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। তার ফলে চাহিদা বাড়ছে। আগে মানুষ এসি ব্যবহার করত না। এখন প্রায় সকলে করেন। ১১ শতাংশ বিদ্যুৎ ব্যবহার বেড়েছে। দেউচা পাচামি হয়ে গেলে আগামী ১০০ বছর সমস্যা থাকবে না। বিদ্যুতের দাম কমে যাবে। আমরা দাম বাড়াই না। সিইএসসি দাম বাড়ায়। এটা আমাদের হাতে নেই। যত পাওয়ার প্ল্যান্ট তত দামে ভারসাম্য আসবে।”
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “সাগরদিঘিতে পাওয়ার প্ল্যান্টের কাজ চলছে। দুর্গাপুর, বক্রেশ্বরে পাওয়ার প্ল্যান্টের কাজ চলছে। সাঁওতালডিহিতেও চলছে। বাংলা জুড়ে অনেকগুলো পাওয়ার প্ল্যান্ট হচ্ছে। তার ফলে বাড়বে কর্মসংস্থান। আয়ও বাড়বে। এখন আর লোডশেডিং হয় না।”
প্রসঙ্গত, ২১ এপ্রিল শালবনিতে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধনের পরে আগামী ২২ এপ্রিল দুপুর সাড়ে ১২টায় গোয়ালতোড়ে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জার্মানির এক সংস্থা এই প্রকল্পের জন্য ৮০ শতাংশ আর্থিক বিনিয়োগ করেছে। বাকি টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। ৭৫৭ কোটি টাকা বিনিয়োগে এই প্রকল্পটি তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ এই নয়া বিনিয়োগ আগামীতে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করবে বাংলায়।