মুম্বই : স্বস্তিতে কৌতুকশিল্পী কুণাল কামরা। মাদ্রাজ হাইকোর্ট আগেই জামিন দিয়েছিল তাঁকে। এবার বম্বে হাইকোর্টও জানাল, কুণালকে গ্রেফতার করার প্রয়োজন নেই। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডেকে নিয়ে একটি প্যারোডি তৈরি করে পারফর্ম করায় কুণালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় মুম্বইতে। বুধবার সেই মামলার শুনানিতেই অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষাকবচ পেলেন কৌতুকশিল্পী।
এদিন বিচারপতি সারাং কোটওয়াল এবং শ্রীরাম মোদকের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। সেই শুনানি শেষেই বম্বে হাইকোর্টের তরফে এখনই কুণাল কামরাকে গ্রেফতার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এপ্রসঙ্গে আদালত জানিয়েছে, “চূড়ান্ত রায় না বেরনো পর্যন্ত আবেদনকারীকে কোনওভাবেই গ্রেফতার করা যাবে না। যেহেতু, ভারতীয় আইনের ৩৫ (৩) ধারায় এই মামলা নথিভুক্ত হয়েছে তাই গ্রেফতারি প্রয়োজন নেই এবং সম্পূর্ণ ঘটনার পর্যবেক্ষণ করার পরে গ্রেফতারির প্রসঙ্গও আসছে না।”
সম্প্রতি মুম্বইয়ের এক হোটেলে কৌতুক পরিবেশনের সময় শিব সেনার দ্বিখণ্ডিত হওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে একনাথ শিণ্ডেকে নিয়ে একটি প্যারোডি গেয়েছিলেন কুণাল। সেই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন শিণ্ডে সমর্থকরা। মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু মিলিয়ে একাধিক জায়গায় কৌতুকশিল্পীর বিরুদ্ধে দায়ের হয় মামলা। মাদ্রাজ উচ্চ আদালতে আগেই জামিনের আবেদন করে ছাড়পত্র পেয়েছিলেন কুণাল। এবার বম্বে হাইকোর্টের ঘোষণাতেও স্বস্তি মিলল তাঁর।
কিছুদিন আগেই কুণাল অভিযোগ করেন, মাদ্রাজ হাইকোর্টে জামিন পেলেও তাঁকে গ্রেফতার করতে মরিয়া মুম্বই পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে আরও বেশ কয়েকটি থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। সেই সব মামলায় কৌতুকশিল্পীকে তলব করে সমনও পাঠিয়েছে মুম্বই পুলিশ। সেই অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে তিনি তামিলনাড়ুর ভানুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে জামিনের আবেদন করেন তিনি। কৌতুকশিল্পীকে আগাম জামিন দিয়েছে ওই আদালত। ট্রানজিট অ্যান্টিসিপেটারি বেল পেয়েছিলেন তিনি। ফলত যে থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা, সেই থানার এলাকার বাইরে গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না। যার অর্থ, মুম্বই পুলিশ কোনওভাবেই কুণালকে গ্রেফতার করতে পারবে না। এবার বম্বে উচ্চ আদালতও জানিয়ে দিল, কৌতুকশিল্পীকে গ্রেফতারের প্রয়োজন নেই।
এপ্রসঙ্গে কুণাল কামরার ঘনিষ্ঠ মহল জানিয়েছে, শিণ্ডে ইস্যুতে ৫০০টি হুমকি ফোন পেয়েছেন তিনি। যে হোটেলে এই শো রেকর্ড করা হয়েছিল, সেখানেও হামলা চালায় শিব সেনা (শিণ্ডে) সমর্থকরা। পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিসেরও রোষ-নজরে পড়েছেন কুণাল। ফড়ণবিসের দাবি, অবিলম্বে কুণালের ক্ষমা চাওয়া উচিত। যদিও নিজের বক্তব্যে অনড় কুণাল কামরা। জানিয়েছেন, ক্ষমা তিনি চাইবেন না।আইনের পথে হেঁটেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করবেন।