নয়াদিল্লি: সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি নিয়ে চাপ বেড়েছে আন্তর্জাতিক স্তরে। এর প্রভাব যে শেয়ার বাজারেও পড়বে তা আগে থেকেই টের পাওয়া যাচ্ছিল। সোমবার বড়সড় পতন হবে গোটা বিশ্বের শেয়ার বাজারে, সেই আশঙ্কা ছিলই। আশঙ্কা সত্যি করে বিরাট পতন হল শেয়ার বাজারে। সপ্তাহের শুরুতে সোমবার বাজার খুলতেই দেখা যায়, প্রায় চার হাজার পয়েন্ট পড়েছে সেনসেক্স।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চড়া হারে শুল্ক চাপানোর ঘোষণা করার পরেই নিম্নমুখী ভারতের শেয়ার বাজার। লাগাতার পড়েছে সেনসেক্স-নিফটির সূচক। তবে ৩৯৩৯.৬৮ পয়েন্ট পড়ে ৭১ হাজারের ঘরে নেমে যায় সেনসেক্সের সূচক। প্রায় ৩.৯ শতাংশ পতন হয়েছে সোমবার সকালে। বেলা গড়াতে বাজারের হাল খানিকটা ফিরলেও রক্তক্ষরণ অব্যাহত। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ‘ব্ল্যাক মানডে’র স্মৃতি ফিরল ভারতের শেয়ার বাজারে।
ভারতীয় শেয়ার বাজারে লোকসানের মুখে বহু বিনিয়োগকারী। ট্রেন্ট, টাটা স্টিল, টাটা মোটরস, জেএসডব্লিউ স্টিল, শ্রীরাম ফিনান্স- একের পর এক সংস্থার শেয়ারের দাম হুহু করে পড়ছে। ৪ থেকে ৭ শতাংশ পড়ে গিয়েছে গাড়ি-আইটি সংস্থাগুলির শেয়ার। ৭ শতাংশ পড়েছে আদানি গোষ্ঠীর একাধিক সংস্থার শেয়ার। ছোট এবং মাঝারি সংস্থার শেয়ার যথাক্রমে ৬.২ এবং ৪.৬ শতাংশ পড়েছে। ভারতের বাজারে বিনিয়োগকারীদের মোট ১৯ লক্ষ কোটি টাকা উধাও হয়ে গিয়েছে একদিনের মধ্যেই। শেষ পর্যন্ত কত নিচে নামবে ভারতের শেয়ার বাজারে, আশঙ্কা বিনিয়োগকারীদের।
আশঙ্কা ছিল, ১৯৮৭ সালের ব্ল্যাক মানডে’র মতোই শেয়ার বাজারে বিরাট ধস নামতে পারে। সোমবার সেই আশঙ্কাই সত্যি হতে শুরু করেছে বিশ্বের বাজারে। চিনের সাংহাই কম্পোজিট ইন্ডেক্স ৪.২১ শতাংশ পড়ে গিয়েছে। ৭ শতাংশ পড়ে গিয়েছে জাপানের নিক্কেই সূচক। দক্ষিণ কোরিয়ার কোসপির সূচক পড়েছে ৪.৮ শতাংশ। হংকংয়ের শেয়ার বাজার পড়েছে ৯ শতাংশেরও বেশি। অস্ট্রেলিয়া এবং তাইওয়ানের শেয়ার বাজার যথাক্রমে ৬ এবং ৯.৮ শতাংশ পড়েছে। সবমিলিয়ে ধুঁকছে গোটা বিশ্বের শেয়ার বাজার।