প্রতিবেদন : আর মাত্র কয়েকঘণ্টা। মাহি-বিরাট মহাদ্বৈরথের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন ক্রিকেটভক্তরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় চিপকে আইপিএলের হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হতে চলেছে চেন্নাই সুপার কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। কোন দল শেষ হাসি হাসবে? জোর চর্চা চলছে ক্রিকেটমহলে।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী মরসুমে চিপকে সিএসকের বিরুদ্ধে জিতেছিল আরসিবি। তারপর চেন্নাইকে তাদের ঘরের মাঠে একটা ম্যাচেও হারাতে পারেনি তারা। স্বাভাবিকভাবেই এবার সেই ‘লজ্জার’ পরিসংখ্যান বদলাতে চাইবেন বিরাটরা। তবে কাজটা শেষ খুব একটা সহজ নয়, তা পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরেই চিপককে কার্যত ‘দুর্গ’ বানিয়ে ফেলেছে সিএসকে। প্রথম ম্যাচেও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়েছে তারা। রবীন্দ্র জাদেজা রয়েছেন। রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সঙ্গে আফগানিস্তানের নূর আহমেদ রয়েছেন। চিপকের উইকেট বরাবরই স্পিনারদের সাহায্য করে। ফলে চেন্নাইয়ের স্পিন-ত্রয়ীকে সামলানোর কাজ বিরাটদের কাছে ভীষণ কঠিন হতে চলেছে। যদিও কেকেআরকে হারিয়ে এবার শুরুটা খুব ভালো করেছে আরসিবি। চেন্নাই-যুদ্ধের আগে যা নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস জোগাবে তাদের।
তবে চোট-সমস্যা ভাবাচ্ছে দুই দলকেই। চেন্নাই প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার পেসার মাথিসা পাথিরানাকে খেলাতে পারেনি। চোট রয়েছে তাঁর। আরসিবির বিরুদ্ধে তিনি খেলতে পারবেন কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে পাখিরানা যদি ফিট হয়ে যান, তাহলে নাথান এলিসের জায়গায় খেলবেন তিনি। অন্যদিকে চোটের জন্য কেকেআরের বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি আরসিবির পেসার ভুবনেশ্বর কুমার। চিপকে শুরুতে সুইং মেলে। ভুবনেশ্বর থাকলে আরসিবির পেস অ্যাটাক যে আরও শক্তিশালী হবে, তা বলাই বাহুল্য।
ধোনি বা কোহলি, দু’জনের কেউই এখন আর টিমের অধিনায়ক নন। গতবার প্রথম ম্যাচের আগে হঠাৎই ক্যাপ্টেন্সি ছেড়ে দিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। বিরাট কোহলিও অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন কয়েকবছর আগে। তবু শুক্রবারের চিপকে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবেন ওই দু’জনই। সমাজমাধ্যমে চোখ রাখলেই মালুম হচ্ছে তা।