আহমেদাবাদ: নরেন্দ্র মোদীর গুজরাটে শিক্ষাব্যবস্থার দূরাবস্থা দেখে রীতিমতো চিন্তায় পড়ছে ওয়াকিবহাল মহল। পড়ুয়ার অভাব শীর্ষে উঠেছে। বিগত ২ বছরে মোদীর গুজরাটে ৫৪টি সরকারি প্রাথমিক স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্কুলশিক্ষামন্ত্রী ২৫ ফেব্রুয়ারিতে এই তথ্য সামনে এনেছেন। এরপরেই সমালোচনার ঝড় তুঙ্গে উঠেছে।
২০২৪ সালে প্রাথমিক স্কুলের বেহাল দশা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সে সময় জানা গিয়েছিল, ৩৪১টি প্রাথমিক স্কুল মাত্র একটি ক্লাসরুম নিয়েই চলছে। তার ঠিক এক বছরের মধ্যেই পঞ্চাশেরও বেশি স্কুল বন্ধ হওয়ার তথ্য প্রকাশ করলেন স্কুলশিক্ষামন্ত্রী। সম্প্রতি কংগ্রেস বিধায়ক কীর্তি প্যাটেল স্কুলশিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। তার উত্তরে জবাব পেশ করেন মন্ত্রী।
সরকারি হিসেব অনুসারে, দেবভূমি দ্বারকায় ৯টি, আরাবল্লিতে ৭টি, আমরেলিতে ৬টি ও পোরবন্দরে ৬টি সহ ৩৩ জেলার প্রত্যেকটিতেই কোনও না কোনও প্রাথমিক স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি সরকারি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অন্তত ১৬০৬টি স্কুল চলছে মাত্র একজন শিক্ষককে নিয়ে।
শিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, পড়ুয়া ও শিক্ষকের অভাব তো বটেই। তার সঙ্গে স্কুলে উন্নয়নমূলক কাজের জন্য জায়গারও অভাব রয়েছে। সে কারণেও বেশিরভাগ স্কুলেই খেলার জন্য কোনও মাঠ নেই। অন্যদিকে ক্লাসরুম বাড়ানোর জন্য সংস্কার করার মতো জায়গারও অভাব রয়েছে। সেই জন্য পড়ুয়াদের মধ্যে স্কুলে আসার আগ্রহ কমছে। এহেন নানা কারণেই বন্ধ করে দিতে হচ্ছে স্কুল।
এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই গুজরাটের শিক্ষার দৈন্য দশা সকলের সামনে উঠে আসছে। বিরোধীদের সমালোচনাও তুঙ্গে উঠেছে। বিরোধীদের দাবি, পর্যাপ্ত পরিকাঠামো ও শিক্ষকের অভাবের কারণেই সরকারি স্কুলে পড়ুয়া ভর্তি কমেছে। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরে আরও কয়েকশো স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে।