নয়াদিল্লি: ‘ভূতুড়ে’ ভোটার কার্ড নিয়ে সরগরম দেশের রাজনৈতিক আবহ। সে নিয়ে কমিশনকে(Commission )প্রবল চাপে ফেলেছে বিরোধী দলগুলি। এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড সংযুক্তিকরণের কাজ শুরু করতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার নতুন মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের উদ্যোগে হওয়া বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বলা হল, কোন পথে এই দুই কার্ডের সংযুক্তিকরণ করা যায়, তা ঠিক করতে কারিগরি বিশেষজ্ঞ-সহ অন্যান্যদের সঙ্গেও দ্রুত বৈঠক শুরু করা হবে। তবে নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই।
Read More: ছৌ-এর মরশুমে ২০ লক্ষের ব্যবসা, চাঙ্গা পুরুলিয়ার ‘মুখোশ গ্রাম’-এর অর্থনীতি
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অনুযায়ী, জনকল্যাণমূলক প্রকল্প ও প্যান কার্ড ছাড়া কোনও ক্ষেত্রে আধার বাধ্যতামূলক নয়। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ২৩(৬) ধারায় বলা রয়েছে, আধার নম্বর না দেওয়ার জন্য কোনও ব্যক্তির ভোটার তালিকায় নাম তোলার আবেদন বাতিল করা যাবে না। আধার নম্বর দেওয়াটা ভোটারদের জন্য ঐচ্ছিক। দেশের সব নাগরিকের ভোটদানের অধিকার রয়েছে। আধার একটি পরিচয়পত্র মাত্র। নাগরিকত্বের প্রমাণ নয় একেবারেই।

মঙ্গলবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (Commission)সদর দফতরে নতুন মুখ্য কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের আহ্বানে আধার প্রস্তুতকারক সংস্থা ইউআইডিএআই-এর সিইও-র বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন অন্য দুই নির্বাচন কমিশনার, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব, সংসদীয় মন্ত্রকের সচিব, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের সচিব-সহ অন্যান্য কারিগরি বিশেষজ্ঞ। বৈঠক শেষে কমিশন জানায়, ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২৬ অনুযায়ী শুধুমাত্র একজন ভারতীয় নাগরিকই ভোট দিতে পারেন। আধার কার্ড কোনও ব্যক্তির পরিচয়পত্র হিসাবে কাজ করে।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1902319974984958004?s=19
পাশাপাশি বলা হয়, ভোটার কার্ড ও আধার কার্ডের সংযুক্তিকরণ হবে সংবিধানের ৩২৬ নম্বর অনুচ্ছেদ এবং ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধি আইনের ২৩(৪), ২৩(৫) ও ২৩(৬) আইন ও সুপ্রিম কোর্টের ২০২৩ সালে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চের ১৮ সেপ্টেম্বরের নির্দেশ অনুযায়ী। আর সেই নির্দেশের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে স্পষ্ট বলা আছে, নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী আদালতে জানিয়েছিলেন, যে ভোটার (সংশোধনী) নিয়ম ২০২২-এর ২৬-বি নিয়ম অনুযায়ী আধার কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক নয়।
এবিষয়ে তৃণমূলের অভিযোগ, ভূতুড়ে ভোটার নিয়ে ওঠা অভিযোগ থেকে নজর ঘোরাতেই কমিশনের আধার ও এপিক সংযোগের উদ্যোগ। বাংলায় কীভাবে একই এপিক নম্বরে ভোটার তালিকায় অন্য রাজ্যের ভোটারের নাম ঢুকে গেল তার কোনও সদুত্তর দিতে পারছে না কমিশন। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আধার ও এপিক সংযোগের কাজ অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে করা উচিত। কোনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে কমিশনকেই।