কলকাতা : রাজ্যের দরিদ্র মানুষদের মাথার উপর স্বস্তির ছাদ তুলে দিতে ‘বাংলার বাড়ি'(Banglar Bari)প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেবল গ্রাম নয়, শহরের প্রান্তিক মানুষদের কথাও ভেবেছে তাঁর সরকার। সেই কারণেই এবার পুরবাসীদের জন্য আরও ২ লক্ষ ১০ হাজার ‘বাংলার বাড়ি’র ব্যবস্থা হতে চলেছে। নবান্নের তরফে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে এমনই। শহরাঞ্চলে এক একটি বাড়ি তৈরির জন্য রাজ্য দেয় ১ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা। সেখানে কেন্দ্র দেয় মাত্র দেড় লক্ষ টাকা। কিন্তু এক্ষেত্রেও কেন্দ্রীয় বঞ্চনা জারি রয়েছে। এই খাতেও বাংলার প্রাপ্য প্রায় ১৭০০ কোটি টাকা আটকে রেখেছে মোদী সরকার।
Read More: মহাকুম্ভের ‘সাফল্য’ নিয়ে ভাষণ, অথচ মৃত্যুমিছিল নিয়ে চুপ! মোদীর বক্তব্যে নিন্দার ঝড়
সোমবার বিধানসভায় পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক মানুষদের জন্য মাথার উপর ছাদ(Banglar Bari)সুনিশ্চিত করাই রাজ্য সরকারের লক্ষ্য। সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়। উত্তরণবাসীদের পুনর্বাসন এবং ক্রেডিট লিঙ্কড ভর্তুকির মাধ্যমে আর্থিকভাবে দুর্বল অংশের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন নির্মাণ করে দেওয়া হয়। বসবাসযোগ্য বাড়ি তৈরির সহায়তা ছাড়াও উন্নত সামাজিক মর্যাদা প্রদানেরও ব্যবস্থা করে রাজ্য। এখনও পর্যন্ত ৩ লক্ষ ১৫ হাজারের বেশি বাড়ি তৈরি হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের জন্য আরও ২ লক্ষ বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে নবান্ন।

প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পের অধীনে উত্তরণবাসীদের জন্য চারতলা বাড়িও তৈরি হয়। এক একটি বাড়িতে ১৬টি পরিবার বসবাসের জন্য ফ্ল্যাট পেয়ে থাকেন। কলকাতা শহরেই এমন ৩,৫৪২টি ইউনিট তৈরি হয়ে গিয়েছে। এক্ষেত্রে আগামী পাঁচ বছরে ১০ হাজার ইউনিট তৈরি লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার গ্রামীণ এলাকার জন্য ১২ লক্ষ পরিবারকে বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির টাকা প্রদান করেছে। সেই সঙ্গে গ্রামীণ এলাকায় আরও ১৬ লক্ষ ‘বাংলার বাড়ি’ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1902034242953240861?s=19