বসিরহাট : একুশের বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয় ভরাডুবির পর থেকেই কার্যত শনির দশা শুরু হয়েছে বঙ্গ বিজেপিতে।(Bengal BJP)থামানোই যাচ্ছে না দলের আভ্যন্তরীণ কোন্দল। ক্রমশ মাথাচাড়া দিচ্ছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। জেলা ও মণ্ডল সভাপতিদের নাম ঘোষণা হতেই জেলায়-জেলায় দলের মধ্যেই শুরু হয়েছে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ, কুৎসা। উত্তর থেকে দক্ষিণ, সারা রাজ্য জুড়েই চিত্রটা একইরকম। বসিরহাট এই তালিকায় নবতম সংযোজন।
Read More: বিজেপির রাজ্য সভাপতি নিয়ে দলীয় টানাপোড়েন, শুভেন্দুর দিল্লি সফর ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে
বসিরহাট বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সভাপতির নাম ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়েছে পদ্মশিবিরের অন্তর্কলহ। নবনিযুক্ত জেলা সভাপতির নামে রবিবার বাদুড়িয়ার দলীয় অফিসে পোস্টার লাগালেন বিরোধী গোষ্ঠীর কর্মীরা। সেই পোস্টারে দলের কর্মীদের একাংশ নয়া সভাপতিকে ‘ডাকাত’, ‘মিথ্যেবাদী’ বলে উল্লেখ করলেন! কোন্দলকে যেনতেন প্রকারেণ ধামাচাপা দিতে চেষ্টা চালাচ্ছেন বসিরহাটের নবনিযুক্ত জেলা সভাপতি। পোস্টারে তাঁর নামে ২০২১ সালের ভোটে দলের নামে তোলাবাজিরও অভিযোগ করা হয়েছে। তবে তড়িঘড়ি সেইসব পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছেন তাঁর অনুগামীরা।

ঘটনায় পদ্মশিবিরকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। বিষয়টিকে হাস্যকর আখ্যা দিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাদুড়িয়ার বিধায়ক কাজি আবদুল রহিম। “কর্মীদের মধ্যে বিক্ষোভ, মান-অভিমান থাকতেই পারে। তাই বলে নিজের দলের কর্মীদের অন্য দলের দালাল বলে আখ্যা দেওয়া কোনও জেলা সভাপতি কাজ নয়। বিষয়টা হাস্যকর! আমাকে কেউ পছন্দ না করলে তাকে নোংরা, কুরুচিকর, অশ্লীল কথাবার্তা বলব, এটাই বিজেপির(Bengal BJP)আসল সংস্কৃতি। বাদুড়িয়া ও বসিরহাট তৃণমূল কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। তাই বিজেপি দলের অভ্যন্তরে কী হল না হল, তা নিয়ে আমরা কেউই চিন্তিত নই”, সাফ জানিয়েছেন তিনি।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1901593785559400619?s=19