বেঙ্গালুরু: ৩ মার্চ বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১২ কোটি টাকার সোনা-সহ গ্রেফতার হয়েছেন রানিয়া রাও।(gold smuggling) অভিনেত্রীর গ্রেফতারির পর থেকেই নানা প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে, জল্পনাও চলছে বিস্তর। অভিনেত্রীকে নিজেদের হেফজাতে রেখে জেরা করছে রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ (ডিআরআই)। এর মধ্যেই অভিনেত্রী রানিয়া রাও-এর সংস্থা নিয়ে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। রান্যা রাওয়ের সংস্থাকে শিল্পের জন্য জমি বরাদ্দ করে কর্ণাটকের ততকালীন বিজেপি সরকার। এই তথ্য সামনে আসতেই জল্পনা তুঙ্গে।
Read More: ডক্টরস ফ্রন্টের তহবিলের হিসাব পেশ নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য! কটাক্ষের মুখে অনিকেত মাহাতো
২০২৩ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ১২ একর জমি দিয়েছিল ‘ক্ষিরোদা প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে এক সংস্থাকে। এই সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর রানিয়া। কর্নাটক শিল্পাঞ্চল উন্নয়ন নিগম (কর্নাটক ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়াজ় ডেভলপমেন্ট বোর্ড)-এর দেওয়া ওই জমিতে ১৩৮ কোটি টাকা খরচ করে ইস্পাত কারখানা তৈরির প্রতিশ্রুতি দেয় অভিনেত্রীর সংস্থা। কর্নাটক শিল্পাঞ্চল উন্নয়ন নিগমের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিকের কথায়, ওই সংস্থার সঙ্গে যোগ রয়েছে সোনা পাচার() মামলায় ধৃত অভিনেত্রীর।
ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ১২ একর জমি বরাদ্দ করা হয় ওই সংস্থার জন্য। ওই কারখানাটি তৈরি হলে সেখানে বহু কর্মসংস্থান হওয়ার কথা বলে জানান কর্নাটক শিল্পাঞ্চল উন্নয়ন নিগমের আধিকারিক। যদিও সংস্থাকে জমি হস্তান্তর করা হয়ে গিয়েছে কি না, তা স্পষ্ট করেনি কর্নাটক সরকার।(gold smuggling)
রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের তদন্তকারীদের অনুমান, এই সোনা পাচারচক্রে রানিয়া একা জড়িত নন, নেপথ্যে রয়েছে বড় ‘চক্র’! কিন্তু কীভাবে ওই চক্রের সঙ্গে অভিনেত্রীর যোগাযোগ এবং এই চক্রের জাল কোথায় কোথায় ছড়িয়ে রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যেই রানিয়ার পাসপোর্ট খতিয়ে দেখে জানা গিয়েছে শুধুমাত্র দুবাই নয়, অন্তত ৪৫টি দেশে ভ্রমণ করেছেন তিনি।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1899041308641222955
এমনকী জানা যাচ্ছে, রানিয়া জেরার সময়ে জানিয়েছেন, দুবাই ছাড়াও ইউরোপ, আমেরিকা এবং পশ্চিম এশিয়ার বহু দেশে তিনি যাতায়াত করেছেন। ঘন ঘন এই বিদেশযাত্রার নেপথ্যে কী! তাও তদন্ত করে দেখছেন গোয়েন্দারা। রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাও সোনা পাচার(gold smuggling) মামলায় তথ্যানুসন্ধান শুরু করছে।