প্রতিবেদন : আজ ৮ মার্চ। আন্তর্জাতিক নারী দিবস। বাংলায় নারীদের দৃঢ়চেতা সংগ্রামের কথা বলতে গেলে সেই ইতিহাসে নিশ্চিতভাবেই নাম আসবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।(Mamata Banerjee) শনিবার, বিশেষ দিনে ‘অগ্নিকন্যা’ মমতার সংগ্রামী ইতিহাস তুলে ধরে শুভেচ্ছা, শ্রদ্ধা জানালেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এদিক নিজের এক্স হ্যান্ডলে একাধিক পোস্টে মমতার প্রায় গোটা রাজনৈতিক আন্দোলনকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
Read More: দোলযাত্রা ও রমজানে বিশেষ তৎপরতা, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যবস্থা নিচ্ছে লালবাজার
কুণাল লিখেছেন, ”টালির চালের ঘরের বাসিন্দা অগ্নিকন্যার সেই শাসকদেরই হারিয়ে বাংলার সিংহাসনে বসার যাত্রাপথটাও নারীশক্তির জয়ধ্বনির আত্মবিশ্বাসী ধারাভাষ্য।” ছাত্র পরিষদ করাকালীন নয়ের দশকের শেষদিকে আন্দোলনের ময়দানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee)সঙ্গে প্রথম আলাপ কুণাল ঘোষের। এক্স হ্যান্ডল পোস্টে এভাবেই স্মৃতিচারণ করলেন তিনি। এর পরপর এত বছর ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংগ্রামের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেছেন দলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।

পাশাপাশি, মমতাকে নিয়ে তাঁর ধারাবাহিক পোস্টে কুণাল তুলে ধরেছেন তৃণমূল সুপ্রিমোকে প্রথম ‘অগ্নিকন্যা’ সম্বোধনের কাহিনি। কুণাল ঘোষের পোস্টে লেখা, ”কোনো ভুল ধারণা রাখবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে ‘অগ্নিকন্যা’ শব্দটি প্রথম উচ্চারণ করেছিলেন কলকাতার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন বামফ্রন্ট সমর্থিত নির্দল কাউন্সিলর ডাঃ কে পি ঘোষ।” সেই কারণে ডাঃ ঘোষকে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের বিস্তর অপমান সহ্য করতে হয়েছিল, তাও উল্লেখ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1898314081729126741
বিগত ১৯৯৩ সালে সচিত্র পরিচয়পত্রের দাবিতে তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলন, শাসক নিয়ন্ত্রিত পুলিশের লাঠির আঘাতে মাথা ফাটার পরও তাঁর অদম্য জেদ ও অনমনীয় মনোভাবই আজ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়েছে মমতাকে। সেই আন্দোলনের কথাও ফুটে উঠেছে কুণালের বক্তব্যে। ”শাসকের হামলায় মৃত্যুমুখ থেকে বারবার ফিরে এসে টালির চালের ঘরের বাসিন্দা অগ্নিকন্যার সেই শাসকদেরই হারিয়ে বাংলার সিংহাসনে বসার যাত্রাপথটাও নারীশক্তির জয়ধ্বনির আত্মবিশ্বাসী ধারাভাষ্য। রক্তাক্ত হাজরা রোড থেকে মহাকরণের অলিন্দে পৌঁছনোর কালচক্রে ধ্বনিত হয় মহালয়ার আবাহনীর সুর”, জানিয়েছেন তিনি।