প্রতিবেদন : ঘুচল না ‘চোকার্স’ তকমা। আইসিসি টুর্নামেন্টের নক আউটে আরও একবার হতাশাই সঙ্গী হল প্রোটিয়া-বাহিনীর। সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫০ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পৌঁছে গেল নিউ জিল্যান্ড। পাহাড়প্রমাণ রান তুলে প্রথমেই প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে দিয়েছিল কিউয়িরা। নিউ জিল্যান্ডের হয়ে শতরান করেন কেন উইলিয়ামসন এবং রাচিন রবীন্দ্র। দুরন্ত সেঞ্চুরি আসে প্রোটিয়া-ব্যাটার ডেভিড মিলারের ব্যাট থেকেও। কিন্তু বৃথা গেল তাঁর মরিয়া লড়াই।
Read More: বিরাট-অস্ত্রে ক্যাঙারু বধ – অজিদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে টিম ইন্ডিয়া
বুধবারের লাহোরে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। পাওয়ার প্লে চলাকালীন আউট হয়ে যান ফর্মে থাকা ওপেনার উইল ইয়ং। কিন্তু তাতে রানের গতি কমেনি। ১৬৪ রানের জুটি গড়ে দলকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দেন রাচিন এবং উইলিয়ামসন। রাচিনের সেঞ্চুরি আসে ৯৩ বলে। তবে ১০১ বলে ১০৮ রান করে আউট হন তিনি। উইলিয়ামসন বাউন্ডারি মেরে শতরান পূরণ করেন মাত্র ৯১ বলে। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৩৬২ রানে থামে কিউয়িদের ইনিংস। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে যা এক ইনিংসে সর্বোচ্চ দলগত রান।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1897001573013967231?s=19
জিততে হলে প্রতি ওভারে সাত রানের বেশি করতেই হত দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ব্যাটাররা রান তুলতে থাকলেও তার গতি ছিল অনেকটাই কম। ফলত বাড়তে থাকে আস্কিং রেট। চাপে পড়ে উইকেট ছুঁড়ে দেন বাভুমা (৫৬) ও ভ্যান ডুসেন (৬৯)। এরপর আর কেউ সেভাবে রান পাননি। টেলএন্ডারদের সঙ্গী করে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছিলেন মিলার। তবে ততক্ষণে ম্যাচের রাশ চলে গিয়েছে কিউয়িদের হাতে। ৬৭ বলে সেঞ্চুরি করেন মিলার। কিন্তু ২০২৩ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের মতো এবারও বিফলে গেল তাঁর লড়াকু শতরান। জয়ের গৌরবগাথা নয়, ঠাঁই পেল ক্রিকেটের ট্র্যাজিক আখ্যানে।