প্রতিবেদন : বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তালিকা ধরে ধরে ভোটার তালিকার গরমিল সামনে এনে প্রমাণ করে দিয়েছেন, বিজেপিকে সাহায্য করতে কীভাবে প্রত্যেক রাজ্যে বাইরের ভোটার ঢুকিয়ে যোগ্য ভোটারদের ভোট বাতিলের কারচুপি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। এহেন মুখোশ খুলে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বিপাকে তারা। তৃণমূল ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছিল ভুল স্বীকারের জন্য, কিন্তু নির্বাচন কমিশন সাফাই দিতে ব্যস্ত থাকায় এবার ডুপ্লিকেট এপিক বাতিলের দাবি তুলল ঘাসফুল শিবির।
তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখেল এক্স হ্যান্ডেলে নির্বাচন কমিশনের কারচুপি বেআব্রু করে দেন। কড়া বার্তা দেন সাংসদ সাগরিকা ঘোষেরও।
প্রথমত, ভোটার আইডি কার্ডগুলিকে এপিক বলা হয়। এখন একই এপিক নম্বর ইস্যু করে সাফাই গাইছে তারা। কমিশনের দাবি, আলফা নিউমেরিক সিরিজ ব্যবহার করার কারণে নির্দিষ্ট রাজ্যে একাধিক ভোটারদের জন্য নাকি একই নম্বরের এপিক ইস্যু করা হয়েছিল। কিন্তু এপিক কার্ড নম্বর তিনটি অক্ষর এবং সাত সংখ্যার একটি ক্রম। তা প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য আলাদা। তাই দুটি ভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটারদের জন্য একই হওয়া সম্ভব নয় একেবারেই।
পাশাপাশি কমিশন জানিয়েছে, দুজনের একই এপিক নম্বর হলেও তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ভোট দিতে অসুবিধা হবে না। কিন্তু একই এপিক নম্বর বাংলার একজন ভোটার এবং অন্য রাজ্যের একজন ব্যক্তিকে বরাদ্দ করা হলে ছবির অমিলের কারণে ভোট বাতিল হতে পারে। যা অ-বিজেপি ভোট বাতিলের বড় চক্রান্ত বলেই মনে করছে বিরোধীরা। তৃতীয়ত নির্বাচন কমিশনের দাবি ছিল, আলফা নিউমেরিক কোডের সদৃশ্যতার কারণে একই এপিক নম্বর বিভিন্ন ভোটারের নামে ইস্যু হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ীই এপিক তৈরির জন্য ব্যবহৃত সফ্টওয়্যারগুলি একটি ট্র্যাক রাখে, যাতে নিশ্চিত করা যায় যে একই এপিক একাধিক ব্যক্তিকে বরাদ্দ করা না হয়। এছাড়াও, এটি একটি স্থায়ী অনন্য পরিচয়পত্র হিসেবে বিবেচিত হয়। এই ঘটনাটিই নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতাকে বড়সড় সংশয়ের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।