প্রতিবেদন : কেটে গিয়েছে বছরের পর বছর। তবুও কাটেনি অন্ধকার। মোদী-জমানায় দেশের বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে নারীসুরক্ষা ও নারীনিরাপত্তার পরিস্থিতি রয়ে গিয়েছে সেই তিমিরেই। ক্রমশ পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নারীনির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা। রেহাই পায়নি নাবালিকা ও শিশুরাও। এবার ‘ডবল ইঞ্জিন’ মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রে পাঁচ দিন ধরে নাবালিকাকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক বন্ধুর বিরুদ্ধে। ঘটনার পরেই ফেরার হয়েছে অভিযুক্ত।
১৭ বছরের ওই কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে অভিযুক্ত বন্ধুর খোঁজ। গ্বালিয়রের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধদমন) জানিয়েছেন, গত ১লা মার্চ উক্ত কিশোরী ও তার পরিবার ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছে। কিশোরীর বয়ানের ভিত্তিতে বোঝা গিয়েছে অভিযুক্তকে আগে থেকে চিনত সে। উত্তরপ্রদেশের জলৌনে বছর দুয়েক আগে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে ওই যুবকের সঙ্গে তার আলাপ হয়েছিল। দু’বছর ধরে ফোনে মাঝে মধ্যেই যোগাযোগ হত দু’জনের। যদিও পরে কথা হত না তাদের।
সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক কিছুদিন আগে ওই কিশোরীকে ফোন করে ঝাঁসিতে ডেকে পাঠায়। কিশোরীকে হুমকি দেওয়া হয় তার একটি গোপন ভিডিও যুবকের কাছে রয়েছে। ঝাঁসি না গেলে সেই ভিডিও সমাজমাধ্যমে ‘ভাইরাল’ করে দেওয়া হবে। সম্মান বাঁচাতে ও ভয় পেয়ে ঝাঁসিতে যুবকের সঙ্গে দেখা করতে যান সেই কিশোরী। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, সেখানে পৌঁছোনোর পর তাকে একটি বাড়িতে আটকে রেখে পাঁচ দিন ধরে লাগাতার ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত। গ্বালিয়রে ফিরে কিশোরী পরিবারকে সব জানায় এবং পরিবারের তরফে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপরেই নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে সেই যুবকের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার সংশ্লিষ্ট ধারার পাশাপাশি শিশু সুরক্ষা আইন (পকসো)-র অধীনে যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বারবার এমন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে সে রাজ্যের প্রশাসনের ভূমিকা। সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি।