কলকাতা : রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বীরভূমের দেউচা-পাঁচামিতে গড়ে উঠতে চলেছে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা খনি ও শিল্পাঞ্চল। খুলে গিয়েছে বিপুল কর্মসংস্থানের পথ। এই খনি প্রকল্প রূপায়িত হলে উপকৃত হবে সারা বাংলা। এমন আবহে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুল বুঝিয়ে স্থানীয় মানুষদের খনি প্রকল্পের বিরোধিতা করতে ক্রমাগত উসকানি দিচ্ছে বাম ও বিজেপি। সেই প্রসঙ্গে তুলেই সোমবার নবান্নের শিল্প বৈঠক থেকে স্থানীয়দের সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি আশ্বাসবার্তা দিয়ে জানালেন, বাংলার সর্বস্তরের মানুষের উপকার হবে। কিন্তু প্রকল্পের সবথেকে বেশি সুফল পাবেন স্থানীয়রাই।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান, “যারা জমি দিয়েছেন তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। প্রায় হাজারখানেক ছেলেমেয়েকে হোমগার্ডের চাকরি দিয়েছি। যাদের ১৮ বছর হয়নি, তাদের ১০ হাজার টাকা মাসিক ভাতা দেওয়া হচ্ছে। ১৮ বছর হলে তারা চাকরি পাবেন। দেউচা পাঁচামির কয়লা খনন শুরু হলে স্থানীয় ছেলেমেয়েরাই চাকরি পাবে।”
প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলার মহম্মদবাজারের দেউচা-পাঁচামিতে প্রস্তাবিত কয়লা খনি গড়তে মোট ৩৩৭০ একর জমি প্রয়োজন। তার মধ্যে ১০০০ একর সরকারি জমি রয়েছে। বাকি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। প্রথম পর্যায়ে ঠিক হয়েছিল দু’টি পর্যায়ে খনি হবে। প্রথমে দেওয়ানগঞ্জ হরিণশিঙা, পরে দেউচা-পাঁচামি খনি এলাকা। সে ভাবেই জমি কেনা শুরু হয়। পরে দু’টি এলাকাতেই সরকার নির্ধারিত দরে পর্যায়ক্রমে জমি কিনেছে। খনি গড়ার ‘নোডাল’ সংস্থা পিডিসিএল বা রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম। জমিদাতা পরিবার থেকে সরকারি চাকরি পেয়েছেন ১৪০০ জনের বেশি সদস্য।