কলকাতা: বাংলার কৃষকদের পাশে সবসময় দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। পূর্বে দেখা গিয়েছে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়েছিল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। তার ভালোরকম প্রভাব পড়েছিল দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। অতিবৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ধান চাষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তার কিছুদিন আগে ডিভিসি’র ছাড়া জলে হুগলি, হাওড়া ও বর্ধমান জেলায় ধান চাষের ক্ষতি হয়েছিল। কৃষকদের এহেন ক্ষতিতে পাশে থেকেছে রাজ্য সরকার। এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ৯ লক্ষের বেশি কৃষক বাংলা শস্য বিমার (বিএসবি) আওতায় ক্ষতিপূরণ বাবদ পেলেন ৩৫১ কোটি টাকা। খরিফ মরশুমে ধান চাষ করে যাঁরা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন মূলত তাঁরাই পেয়েছেন এই অর্থ।
২০১৯ সালে বিএসবি শুরু করে রাজ্য সরকার। প্রথম থেকে আলু ও আখ ছাড়া অন্য কোনও ফসলের জন্য কৃষকদের প্রিমিয়াম বাবদ কোনও টাকা দিতে হতো না। এই দু’টি ফসলের জন্য সামান্য কিছু প্রিমিয়াম দিতে হতো। গত বছরের বাজেটে ঘোষণা করা হয়, সেটুকুও দিতে হবে না। ২০২৪-২৫-এর রবি ও বোরো মরশুম থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে।
সরকারি সূত্রে খবর, ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে বিএসবি’র জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ১০২২ কোটি টাকা। পরের অর্থবর্ষে তা বাড়িয়ে ১১২৫ কোটি করা হয়। ২০২৫-২৬ সালে এই খাতে বাজেটে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১৩১৩ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা। বিএসবি শুরু হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ১২ লক্ষ কৃষক মোট ৩৫৬২ কোটি টাকা পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, শনিবার নবান্নে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নেতৃত্বে এক বৈঠকে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প নিয়ে পর্যালোচনা হয়। রবি ও বোরো মরশুমের জন্য বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পে কৃষকদের নথিভুক্তির কাজ কতটা এগিয়েছে খতিয়ে দেখা হয় সেখানে। রবি ও বোরো মরশুমের জন্য এই প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত ৭১ লক্ষ ৯৮ হাজার চাষির নাম নথিভুক্ত হয়েছে বলে রিপোর্ট দিয়েছে কৃষি দফতর। এর মধ্যে আলুচাষির সংখ্যা ১২ লক্ষ ১৩ হাজার।