কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর ‘বাংলার হাট’-এর সূচনা হল বৃহস্পতিবার থেকেই। নিউটাউনে জুড়ল নয়া পালক। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই উদ্বোধন হল এই বাংলার হাটের। আরও এক প্রদর্শনী ঘুরে দেখে তার ‘রূপান্ন’ নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। নিশ্চিতভাবে বাংলার হাট ও রূপান্ন হার মানাবে যে কোনও আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীকে৷ ঝাঁ চকচকে এই দুটি কেন্দ্রে থাকছে বাংলার গ্রামের হস্তশিল্পের পসরা৷
স্থায়ী এই কেন্দ্র দুটিতে গ্রামীণরা তাঁদের কারুকার্য নিয়ে এসে বিক্রি করতে পারবেন৷ এতে চাঙ্গা হবে গ্রামীণ অর্থনীতি৷ স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হবে কর্মসংস্থান। বাংলা হাটে ৭টির মধ্যে ৪টি জেলাভিত্তিক বিপণি৷ সেই বিপণিগুলিতে প্রতি ১৫ দিন অন্তর ৪টি করে নতুন জেলার প্রদর্শনী থাকবে৷ সঙ্গে জলযোগের জন্য রয়েছে ‘ক্যাফে একান্ত’৷ ফলে সপ্তাহজুড়ে মানুষ এখানে এসে তাঁদের পছন্দের জিনিস কিনতে পারবেন৷ সারা বছর ধরে চলবে প্রদর্শনী৷

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে তৈরি হয়ে গিয়েছে৷ প্রত্যেক জেলা এখানকার স্টলে তাদের জিনিসপত্র দেখাতে পারবে৷ এদিন বাংলার হাট শুরু হয়েছে আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া, বীরভূম ও নদিয়ার হস্তশিল্প দিয়ে৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, হিডকোর ভাইস চেয়ারম্যান এইচ কে দ্বিবেদী, বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী প্রমুখ৷
প্রসঙ্গত, শিল্প সম্মেলনের শেষ দিন ৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারের পাশের জায়গাটি দেখে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং হিডকোর অফিসারদের নির্দেশ দেন, এখানে যে ৭টি বিপণি হচ্ছে তাকে আরও ভাল করে গড়ে তুলতে হবে৷ সেদিনই নাম দিয়েছিলেন ‘বাংলার হাট’৷ বৃহস্পতিবার তারই উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷