কলকাতা : জাতীয় পরিসরে আরও একবার ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত প্রকল্প। রাজস্থানের উদয়পুরে অনুষ্ঠিত দু’দিনব্যাপী দ্বিতীয় সর্বভারতীয় জল সংরক্ষণ বিষয়ক সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-আমলা থেকে শুরু করে রাজস্থান, ওড়িশা এবং ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীরা। উপস্থিত ছিলেন একাধিক দফতরের উপমুখ্যমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রীরা। জাতীয় স্তরের গুরুত্বপূর্ণ এই সম্মেলনে বাংলার প্রতিনিধিত্ব করেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায়। বৈঠকে সারা দেশের সামনে জল সংরক্ষণের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেওয়া একাধিক প্রকল্পের সাফ্যলের কথা তুলে ধরেন পুলকবাবু।
বিগত ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর একাধিক জনমুখী প্রকল্প চালু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। যার মধ্যে অন্যতম হল ‘জল ধরো জল ভরো’ এবং ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্প। সম্মেলনে উপস্থিত বিশিষ্টরা এই প্রকল্পগুলির প্রশংসা করেছেন। এই ক্ষেত্রে বাংলার সাফ্যলের কথা তুলে ধরতে গিয়ে, পুলক রায় জানিয়েছেন, ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পের মাধ্যমে বৃষ্টির জল ধরে রেখে মূল্যবান জলসম্পদ উন্নয়ন সুনিশ্চিত করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পের মাধ্যমে কীভাবে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের এলাকাগুলিতে শুখা মাটিতেও কৃষিকাজ সুনিশ্চিত করা হয়েছে তাও এই সম্মেলনে তুলে ধরেন তিনি।

পাশাপাশি, উক্ত প্রকল্পে জল সংরক্ষণ সংক্রান্ত একাধিক কর্মসূচি রাখা হয়েছিল বলেও তিনি জানিয়েছেন পুলকবাবু। মুখ্যমন্ত্রীর নজরদারিতে একাধিক দফতরের সমন্বয়ে এই প্রকল্প সফল হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর নেমে যাচ্ছে বলেই উঠে এসেছে একাধিক রিপোর্টে। সেই ক্ষেত্রে রাজ্যের এই সমস্ত পদক্ষেপ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। আবার জল সরবারহের সময় এবং ধূসর জল ব্যবস্থাপনার কারণে জল নষ্ট হওয়া ঠেকানোর প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন পুলক রায়। সম্মেলনে পানীয় জলের অপচয় রুখতে প্রয়োজনীয় আইনের কথাও উত্থাপন করেন তিনি। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ার কাজ চলছে তৎপরতার সঙ্গে। ৯৫ লক্ষ বাড়িতে সেই সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এই কাজ যত দ্রুত সম্ভব শেষ করার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।