উত্তরপ্রদেশে মহাকুম্ভ চলাকালীন যোগী সরকারের চরম অপদার্থতার জেরে বলি হয়েছে একের পর এক প্রাণ। কখনও পদপিষ্ট হয়ে পুণ্যার্থীদের মৃত্যু হয়েছে। কখনও ঘটেছে অগ্নিকাণ্ড। কখনও আবার মহাকুম্ভের পথে ট্রেনে উঠতে গিয়ে হুড়োহুড়িতে প্রাণ গিয়েছে সাধারণ মানুষের। মঙ্গলবার রাজ্য বিধনাসভায় এহেন মৃত্যুমিছিল প্রসঙ্গে যোগী সরকারকে কড়া ভাষায় একহাত নেন মমতা। মহাকুম্ভকে ‘মৃত্যুকুম্ভ’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। ইতিমধ্যেই বিজেপি তাঁর মন্তব্যের বিরোধিতায় সরব। তবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে সমর্থন করেছেন শংকরাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী। এবার তাঁরই পথে হেঁটে যোগী সরকারকে তীব্র নিন্দায় বিঁধলেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব।
অখিলেশ স্পষ্ট জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেছেন তা সম্পূর্ণ ঠিক। অনেক রাজ্যের মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে বাংলার মানুষও আছে। এর জবাবদিহি করতে হবে যোগী সরকারকে। পাশাপাশি তৃণমূলের দাবি, মহাকুম্ভের আয়োজনে তাঁর সরকারের অপদার্থতা, মিথ্যাচার এবং অসত্য মন্তব্যের দায় মাথায় নিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে যোগীকে।
রাজনৈতিক মহলে একটি বড় অংশের মতে, মৃত্যুমিছিল ঢাকতে, নিজেদের ব্যর্থতাকে ধামাচাপা দিতে নোংরা রাজনীতি করছে বিজেপি। নিজেদের চরম ব্যর্থতা থেকে নজর অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে চাইছেন যোগী আদিত্যনাথ। কিন্তু এত মৃত্যুর দায় কে নেবে? উঠছে প্রশ্ন। প্রশাসনের ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে সবচেয়ে আগে ক্ষমা চাওয়া উচিত যোগী আদিত্যনাথের। বুধবার এই ভাষাতেই যোগী এবং তাঁর দলকে আক্রমণ করেছে ঘাসফুল শিবির।