কলকাতা: ক্যালকাটা লেদার কমপ্লেক্স ট্যা নারস অ্যা সোসিয়েশনের হাত থেকে এবার বানতলা চর্মনগরী পরিচালনার সমস্ত দায়িত্ব যেতে চলেছে রাজ্য সরকারের কাছে। বানতলা চর্মনগরী আর সঙ্গগঠনের হাতে না রাখার সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে। সোমবার নবান্নের একটি বৈঠকে সংগঠনের ক্ররতাদের এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই বৈঠকে মুখ্যরমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাংয় জানিয়ে দেন, চর্মনগরী পরিচালনার দায়িত্ব রাজ্যে সরকারের আওতায় আসুক।
ঠিক যেভাবে সেক্টর-৫-এর তথ্য্প্রযুক্তি হাব রয়েছে নবদিগন্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ অথরিটির অধীনে, তেমনই ২০১৫ সাল থেকেই বানতলা চর্মনগরী সরকারিভাবে নগোরন্নয়ন দফতরের অধীনস্থ সেক্টর-৬ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপের অংশ। এতদিন বানতলা চর্মনগরীর পরিচালনার দায়িত্ব ছিল সিএলসিটি অর্থাৎ ক্যালকাটা লেদার কমপ্লেক্স ট্যা নারস অ্যা সোসিয়েশনের। কিন্তু সম্প্রতি চর্মনগরীর নিকাশি নালা সাফ করতে গিয়ে বিষাক্ত গ্যাশসে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এরপরই বিষয়টি নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে নবান্ন। শ্রমিকদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ফের যাতে এমন দুর্ঘটনা না ঘটে, তার জন্যে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে চায় প্রশাসন।
এই মর্মে নবান্নের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বানতলা চর্মনগরীর পরিচালনার দায়িত্ব নিজেদের হাতে নিয়ে আসার কথা জানিয়ে দেন। মুখ্যনমন্ত্রীর বক্তব্যের পর প্রস্তাবে রাজি থাকার বিষয়টি জানান সিএলসিটিএ-র কর্মকর্তারা। বৈঠকে সংগঠনের হাত থেকে কীভাবে রাজ্যি সরকার দায়িত্ব নেবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়। সেক্ষেত্রে চর্মনগরীর পরিচালনার দায়িত্ব কেএমডিএ-এর এক্তিয়ারে থাকবে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। বৈঠকে হাজির ছিলেন পুর ও নগোরন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ খান, মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ-সহ শীর্ষ আধিকারিকরা।
আবার সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক জিয়া নাফিস বৈঠকের পর বলেন, “রাজ্যপ সরকার এই প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা এই ব্য বস্থায় রাজি রয়েছি। বিষয়টি নিয়ে সংগঠনের সদস্য দের সঙ্গে বৈঠক হবে। তারপরই রাজ্যএ সরকারকে আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।” আগামী ১৮ মার্চের মধ্যে চূড়ান্ত মতামত সিএলসিটিএ জানাবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর।