অতীতেও উগ্র হিন্দুত্ববাদের স্বর উঠে এসেছে তাঁর ভাষণে। যা নিয়ে বারবার সূত্রপাত হয়েছে বিতর্কের। এবার হিন্দু সমাজকেই ভারতবর্ষের উত্তরাধিকারী হিসাবে ঘোষণা করলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত! পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের জনভিত্তি আরও প্রসারিত করতে আমজনতাকে সংঘে যোগদান করারও ডাক দিলেন। রবিবার বর্ধমানের প্রকাশ্য জনসভায় আগামীতে বিজেপির পথচলার অভিমুখ বাতলে দিলেন তিনি। যা শুনে তৃণমূলের পাল্টা কটাক্ষ, হিন্দুত্বের এজেন্সি নিয়ে রাখেনি আরএসএস বা বিজেপি।
ভাগবত বলেন, ‘‘বিবিধতার মধ্যে ঐক্যই ভারতীয় সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য। যাঁরা নিজেদের বিবিধতা সত্ত্বেও একত্রিত থেকে গিয়েছেন তাঁরা ভারত নামক সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে চেয়েছেন। এই সংস্কৃতির সঙ্গে যারা নিজেদের মেলাতে পারেনি তারা ভারত থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছে। আলাদা দেশ বানিয়েছে। কিন্তু হিন্দুরা গোটা বিশ্বের বৈচিত্রকে আপন করে নিয়েছে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের উদ্দেশ্য সকলকে সংগঠিত করা। এই লক্ষ্যেই একশো বছর ধরে কাজ করে চলেছে সংঘ।’’ এপ্রসঙ্গে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ‘‘হিন্দুত্বের এজেন্সি আরএসএস বা বিজেপি নিয়ে রাখেনি। ওরা বলছে, এটা তাদের ব্যাপার। আমরা তাদের আদর্শগত বিরোধিতা করি। আরএসএস বিজেপির অন্তরাত্মা। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের আদর্শগত লড়াই চলবে’’, সাফ জানিয়েছেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।