বুধবার বিকেলেই পেশ হতে চলেছে রাজ্য বাজেট। দীর্ঘদিন ধরেই ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে রাজ্যকে কোনও অর্থ দিচ্ছে না মোদী সরকার। এমতাবস্থায় ত্রাতা হয়ে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রামীণ এলাকার দরিদ্র মানুষের স্বার্থে ‘কর্মশ্রী’ প্রকল্প চালু করে উপার্জনের বিকল্প পন্থার দিশা দেখিয়েছে রাজ্য। সেই সঙ্গে জবকার্ড হোল্ডারদের সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের কোষাগার থেকেই। কয়েকমাস পরেই বিধানসভা ভোটের দামামা বেজে যাবে রাজ্যে। এই আবহে ছাব্বিশের ভোটই পাখির চোখ তৃণমূলের। তার প্রতিফলনও এবারের বাজেটে স্পষ্ট হবে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বুধবার শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করবেন রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সূত্রের খবর, সামাজিক সুরক্ষা, শিক্ষা, যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের মতো বিষয়গুলিতে গুরুত্ব না কমিয়েই গ্রামীণ এলাকার উন্নয়ন খাতে বাজেট বরাদ্দ ১৩ থেকে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব আসতে চলেছে। ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই বৃদ্ধি ছিল পাঁচ থেকে ছয় শতাংশ। ২০২৪-২৫-এ এই খাতে ১১.২৭ শতাংশ বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি হয়েছিল।
উল্লেখ্য, কেবল ১০০ দিনের কাজ নয়, আবাস প্রকল্পের টাকাও আটকে রেখেছে কেন্দ্র। তাই নিজস্ব কোষাগার থেকে ২৮ লক্ষ উপভোক্তাকে বাড়ি তৈরির জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর জন্য মোট খরচ হবে প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা। প্রথম পর্যায় ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা করে (মোট সাত হাজার কোটি) ইতিমধ্যে দেওয়া হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া হবে এপ্রিল-মে মাসে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী বাকি ১৬ লক্ষকে (আট লক্ষ করে) দু’ভাগে টাকা দেওয়া হবে। ফলে শুধুমাত্র বাংলার বাড়ি (গ্রামীণ) প্রকল্পের জন্যই পঞ্চায়েত দফতরকে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর পথে হাঁটতে হচ্ছে। তাই এই দফতরের অন্যান্য কয়েকটি ক্ষেত্রের বাজেট বরাদ্দ সামান্য কাঁটছাঁট করার প্রস্তাবও থাকছে বলে ইঙ্গিত সূত্রের। বিধানসভা ভোটের আগেই ‘পথশ্রী-৪’ প্রকল্প চালু করে আরও রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা থাকতে পারে বাজেটে। ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ সহ নানা মাধ্যমে প্রায় ২২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরির অনুরোধ জমা পড়েছে ইতিমধ্যেই।