শনিবার শেষ হল নবম পর্যায়ের ‘দুয়ারে সরকার’। সারা বাংলা জুড়ে লক্ষাধিক মানুষের যোগদানে অভাবনীয় সাফল্য পেল এই কর্মসূচি। এবার ১.০৭ কোটি মানুষ পরিষেবা পেয়েছেন ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে। রবিবার সমাজমাধ্যমে এই সাফল্যের নিরিখে রাজ্যবাসীকে কৃতজ্ঞতা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধন্যবাদ জানান শিবির পরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী ও আধিকারিকদের। মুখ্যমন্ত্রী এদিন সমাজমাধ্যমে লেখেন, “আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি নবম দুয়ারে সরকারের ১.০৫ লক্ষ ক্যাম্পে ১.০৭ কোটি মানুষ যোগদান করেছেন। আমরা ৭৬ লক্ষের বেশি আবেদনপত্র গ্রহণ করতে পেরেছি। এই বিপুল সংখ্যক আবেদনের মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। তিনি জানান, বাকি আবেদনগুলির প্রক্রিয়াকরণও ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সম্পন্ন হবে। তৎপর কর্মীরা। আগামী দিনেও আমাদের আধিকারিকরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করবেন।”
পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, “সকল সরকারি আধিকারিক, কর্মী, সেল্ফ হেল্প গ্রুপের সদস্য, কন্যাশ্রী সদস্য, ছাত্র-ছাত্রী এবং স্বেচ্ছাসেবকদের আমার আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রমেই দুয়ারে সরকার সফল। রাজ্যবাসীর প্রতিও আমি কৃতজ্ঞ, যাঁরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে দুয়ারে সরকারকে সমর্থন ও যোগদান করেছেন।” এবার দুয়ারে সরকার শিবিরগুলির মাধ্যমে ৩৭টি প্রকল্পে আবেদন পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। সেই সংক্রান্ত আবেদনপত্র আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে খতিয়ে দেখে উপভোক্তাদের কাছে তা পৌঁছে দেওয়া হবে। এবারও ৩৭ প্রকল্পের মধ্যে টেক্কা দিয়ে শীর্ষে রয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। শুধু লক্ষ্মীর ভাণ্ডারেই জমা পড়েছে ৩ লক্ষ আবেদন। পরিসংখ্যান অনুসারে, প্রথম সাতদিনেই প্রায় ৯০ লক্ষ মানুষ আসেন দুয়ারে সরকার শিবিরে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পাশাপাশি বার্ধক্য ভাতার জন্য প্রায় ১ লক্ষ, স্বাস্থ্যসাথীতে প্রায় ২ লক্ষ ২৫ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। উল্লেখ্য, দুয়ারে সরকারের পথচলা শুরু হয় ২০২০ সালের ডিসেম্বরে। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত গোটা রাজ্যে ৬ লক্ষ ৮২ হাজার ৪৬৫টি দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। আর সেখান থেকে ১১ কোটি ৪৫ লক্ষ ৮৪ হাজার ৭১৬ জন সরাসরি সরকারি সুবিধা পেয়েছেন।
