পুনরুজ্জীবিত হতে চলেছে বীরভূমের একমাত্র কটন মিল ময়ূরাক্ষী। কারখানাটিকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে বুধবার দীর্ঘ বৈঠক সম্পন্ন হল বোলপুর সার্কিট হাউসে। উপস্থিত ছিলেন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, জেলাশাসক বিধান রায়, পশ্চিমবঙ্গ গ্রামোন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডল-সহ অন্য আধিকারিকেরা। এই বৈঠকে ময়ূরাক্ষী কটন মিলকে বিভিন্ন রকমের পোশাক তৈরির উপযোগী করে তোলার বিষয়ে পর্যালোচনা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। প্রাথমিকভাবে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই পরিকল্পনাগুলি মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে। তিনি সবুজ সংকেত দিলেই পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোবে কাজ।
এপ্রসঙ্গে জেলাশাসক বিধান রায় জানান, “বর্তমানে এই মিলে মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনামতো শিশুপড়ুয়াদের স্কুলপোশাক তৈরির কাজ চলছে অত্যন্ত সফলভাবে। পাশাপাশি সংশোধনাগারের সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের যে বিশেষ পোশাক এই মিলে যাতে তৈরি করা যায় তার চিন্তাভাবনা চলছে। এককথায় বলতে গেলে, ময়ূরাক্ষী কটন মিলের আর্থিক স্বাস্থ্য কীভাবে সবল করা যায় সেই বিষয়ে আমরা জোর দিচ্ছি। এই মুহূর্তে উৎপাদন বাড়িয়ে তোলা প্রধান লক্ষ্য। পোশাকের উৎপাদন যত বাড়ানো যাবে ততই কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। যার ফলে এলাকার মানুষের হাতে অর্থ আসবে। এই অর্থ বাজারকে সচল রাখবে।” প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অতিমারীর আবহে বলেছিলেন, মানুষের হাতে অর্থ দিলে তবেই সমাজে আর্থিক স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে। প্রাথমিকভাবে মানুষকে আরও বেশি আর্থিক স্বাবলম্বী করে তোলাই তাঁদের মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক।
