মালদার তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকার ওরফে বাবলা সরকারের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে আরও এক ধাপ এগোল পুলিশ। ঘটনার ১৭ দিনের মাথায় পুলিশের জালে ধরা পড়ল আরও এক অভিযুক্ত। ধৃতের নাম মহম্মদ আসরার। ২২ বছরের পেশায় শার্প শুটার আসরারের বাড়ি বিহারের পূর্ণিয়া জেলার বাইসি থানা এলাকায়। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ, সেদিন যারা দুলালকে গুলি করেছিল তারমধ্যে অন্যতম এই আসরার। তাকে নিয়ে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দুষ্কৃতীদের বিহার-যোগের সন্ধান পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ফের প্রমাণ হয়ে গেল যে বিজেপি ও তার সহযোগী রাজ্যগুলি কীভাবে অপরাধীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বাবলাকে খুনের জন্য আসরারকে ৫০ লক্ষ টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছিল। তাকে জেরা করে ঘটনার মূলচক্রী কারা, তার সন্ধান চালাবে পুলিশ। দুলাল সরকারের মৃত্যুতে জিরো টলারেন্সে তদন্ত ও দোষীদের উপযুক্ত সাজার নির্দেশ দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই তৎপরতার সঙ্গে এই ঘটনায় একের পর এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে আগেই গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ। সেই সঙ্গে এলাকার দুষ্কৃতী স্বপন শর্মা, যার সাহায্যে খুনের ঘটনা সহজ করা হয়েছিল, তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জেরা করে গুলি চালানোয় অভিযুক্তদের খোঁজ চলছিল। দূষ্কৃতীদের পোস্টার ছাপিয়ে পুরস্কারও ঘোষণা করে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করে পুরো ঘটনার রহস্য উদঘাটনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার।
