Parliament চেনা ছন্দেই রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে তাঁর নতুন ইনিংস শুরু করলেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। শপথগ্রহণের পর মঙ্গলবার রাজ্যসভায় প্রথম বক্তব্য পেশ করলেন তিনি। আর সেই ভাষণেই রীতিমতো নজর কেড়ে নিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নবতম সাংসদ। সংবিধানের ৭৫তম বর্ষপূর্তির বিশেষ আলোচনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সংসদে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের দাবি জানালেন ঋতব্রত। স্মরণ করলেন বিশ্বকবিকে। শুধু অসীম প্রতিভাধর কবি হিসাবেই নয়, চিন্তক, দার্শনিক এবং নিষ্ঠাবান রাজনীতিবিদ হিসাবেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরলেন তিনি। পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উদ্ধৃত করে বিজেপিশাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের বিভাজনকামী নীতির তীব্র সমালোচনা করলেন। বিশ্বকবির নজরে দেশের ছবি কী ছিল, তাও তুলে ধরেন তৃণমূল সাংসদ।
পাশাপাশি, দেশের জাতীয় সংগীতের ইতিহাসের উপরও আলোকপাত করেন ঋতব্রত। গানটির তাৎপর্য প্রসঙ্গে বলেন, “১৯১১ সালে কলকাতায় অনুষ্ঠিত কংগ্রেসের অধিবেশনে একটি কবিতা পাঠ করেন রবীন্দ্রনাথ গাকুর। ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি এই গানেরই প্রথম স্তবককে জাতীয় সংগীতের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। কিন্তু এই গানের আরও চারটি স্তবক আছে। যা আমাদের কাছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চোখে ভারতের আসল ছবি তুলে ধরে।” এরপর একে একে ‘জনগণমন অধিনায়ক’-এর বাকি চারটি স্তবক পাঠ করেন ঋতব্রত। ইংরেজিতে তার অনুবাদও করেন তিনি। বলেন, “সংসদে সংবিধান গৃহীত হওয়ার প্রায় এক দশক (আট বছর) আগে প্রয়াত হন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তবে তিনি কত বড় একজন জ্ঞানী ও ভবিষ্যৎদ্রষ্টা ছিলেন, তা তাঁর রচনা থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায়। ভারত ও আমাদের সংবিধান সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ধারণা ছিল ‘আমরা, ভারতের নাগরিক’। অর্থাৎ দেশের ঐক্য। একতা সবসময় একাধিপত্যের উপর জয়লাভ করে।” ঋতব্রত স্মরণ করিয়ে দেন, বিভিন্ন জাতি-ধর্ম এবং ভাষার মানুষকে ঐক্যের সুরে মিলিত হবার মন্ত্রে দীক্ষিত করেছিলেন বিদগ্ধ মনীষী রবীন্দ্রনাথ। আপামর মানুষের মনে জাগিয়ে তুলেছিলেন চেতনা। তাই সংবিধানের ৭৫ বছর পূর্তি রবীন্দ্রনাথ ছাড়া অসম্পূর্ণ থেকে যাবে বলেই মনে করেন তিনি।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1869329511504097546
