Abhishek Banerjee আরও একবার পাহাড়প্রমাণ লজ্জার মুখে দাঁড়াতে হল মোদী সরকারকে। প্রধানমন্ত্রীর সাধের ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্যগুলিতে অবাধে চলছে সাইবার ক্রাইম। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নের জবাবে বেআব্রু হয়ে গিয়েছে বিজেপিশাসিত রাজ্যে ক্রমশ বেড়ে চলা সাইবার অপরাধের। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিরোধী সাংসদরা সংসদে সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণে মোদী সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পরিসংখ্যান সামনে আনার দাবি তুলেছিলেন। সেই প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের জবাবে স্পষ্ট হয়ে গেল ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলির এহেন চিত্র। বিশেষ করে যোগীরাজ্য থেকে শুরু করে ছত্তিশগড় এবং হিমাচল প্রদেশে সাইবার অপরাধের সংখ্যা যে ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী, তা স্পষ্ট কেন্দ্রের পরিসংখ্যানেই।
Read More: ১১ সংকল্পের নামে মিথ্যাচার মোদী সরকারের! – তীব্র আক্রমণে বিঁধল তৃণমূল
লিখিত প্রশ্নের মাধ্যমে সরকারের থেকে অভিষেক জানতে চেয়েছিলেন, দেশের কোন রাজ্যে বাড়ছে সাইবার ক্রাইম এবং অপরাধ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কী পদক্ষেপ নিচ্ছে মোদী সরকার? একই বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন লোকসভার আরও ২২ জন সাংসদ৷ এই প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে লোকসভায় যে পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বি সঞ্জয় কুমার, সেখানে দেখা যাচ্ছে ২০২০ থেকে ২০২২- এই তিন বছরে সারা দেশে সাইবার ক্রাইমের ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে ১৬৮৯০২টি৷ এই তিন বছরে সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত অপরাধে লিপ্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে ৭১৫৯৩ জন৷ এর মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছে মাত্র ৩৫১২ জন৷ এর মধ্যে বিজেপিশাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রদেশে মারাত্মকভাবে বাড়ছে সাইবার ক্রাইম, সরকারি পরিসংখ্যানেই উঠে এসেছে এই তথ্য৷ বাংলায় তুলনামূলক ভাবে সাইবার অপরাধের সংখ্যা অনেক কম, জানানো হয়েছে সরকারি পরিসংখ্যানে৷ বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তরে রীতিমতো ঢোঁক গিলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বি সঞ্জয় কুমার৷ তাঁর দাবি, আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত৷ তারপরেও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে লাগাতার চেষ্টা করা হচ্ছে সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে৷ কিন্তু আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি যেহেতু রাজ্যের এক্তিয়ারে তা হলে বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোতে সাইবার অপরাধের এই বাড়বাড়ন্ত কেন? নিজেদের ব্যর্থতা কি অস্বীকার করতে পারবে বিজেপি? উঠছে এমনই প্রশ্ন।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1868966253400080396
